চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে বিলাসবহুল গাড়িসহ ১৪৮ লট পণ্যের নিলাম সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল দুপুর দুইটার মধ্যে স্থাপিত বাক্সে বিডাররা দরপত্র জমা দেন। এবার নিলামে চট্টগ্রামে দরপত্র জমা পড়েছে ১৯৭টি এবং ঢাকায় জমা পড়েছে ২৬টি। পরবর্তীতে কাস্টম কর্তৃপক্ষ গঠিত নিলাম কমিটি যাচাই বাছাই করে সর্বোচ্চ দরদাতার অনূকুলে পণ্য অনুমোদন দেয়া হবে।
জানা গেছে, এবারের নিলামে নিশান, টয়োটা, সুজুকি ব্র্যান্ডের ৪টি বিলাসবহুল গাড়িসহ গার্মেস্টস এক্সেসোরিজ, ফেব্রিক্স, স্টিল আইটেম, ইলেকট্রনিক্স পণ্য, সিরামিক ও পেপারসহ বিভিন্ন ধরণের পণ্য ছিল। বিডাররা পূর্বের নিয়মে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের (ঢাকা দক্ষিণ) কার্যালয়ে স্থাপিত দরপত্রের বক্সে দুপুর ২টার মধ্যে দরপত্র জমা দিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিলামে অংশ নেন। পরে আড়াইটায় বিডারদের উপস্থিতিতে দরপত্রের বাক্স খোলা হয়।
জানতে চাইলে সরকারি নিলাম পরিচালনাকারী কে এম কর্পোরেশনের কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোরশেদ জানান, করোনাকালেও নিলামের স্বাভাবিক গতি অব্যাহত আছে। সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে বিডাররাও খুশিমনে অংশ নিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। যদিও সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ চার্জ পায় না।