৪৬ বছর পর এবারই প্রথম চট্টগ্রামে জৌলুশহীনভাবে সীমিত পরিসরে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট তিনদিন ব্যাপী কর্মসূচির মাধ্যমে এবার ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) অনুষ্ঠানের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। নগরজুড়ে ব্যাপক হারে পতাকা উত্তোলন এবং আলোকসজ্জার কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও এবারই প্রথম কোনো জুলুশ বের করা হবে না। নগরীর রাস্তায় কোনো আয়োজন থাকছে না। তিনদিন ব্যাপী কর্মসূচির পুরোটাই বিবিরহাটস্থ জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্মদিন উপলক্ষে প্রতি বছর ১২ই রবিউল আউয়াল ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট।
১৩৯৪ হিজরী (১৯৭৪ সাল) থেকে নগরীতে এ জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। দিনে দিনে জুলুসের আকার বিস্তৃত হয়েছে। জুলুস উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষ উৎসবের আমেজে রাস্তায় নামেন। এবার ৪৮তম জুলুস অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু করোনাকালে এবার প্রশাসনের পরামর্শে এবং স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি মাথায় রেখে কোনো ধরনের জুলুস করা হচ্ছে না।
তবে আজ বুধবার থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় তিনদিন ব্যাপী কর্মসূচির মাধ্যমে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন করা হচ্ছে। আজ বাদ মাগরিব থেকে জামেয়া ময়দানে গেয়ারভী শরীফ এবং ঈদে মিলাদুন্নবীর (দ.) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় আনজুমান ট্রাস্টের অঙ্গসংগঠন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘দাওয়াতে খায়র কনভেনশন-২০২০’ এবং ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) এর তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করা হবে। বাদ এশা জামেয়া ময়দানে না’তে রাসুল (দ.) মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার ১২ রবিউল আউয়াল সকাল ৮টা থেকে জামেয়া ময়দানে ঈদে মিলাদুন্নবীর (দ.) তাৎপর্য ও শিক্ষা বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এতে দেশবরেণ্য ওলামা ও ইসলামী চিন্তাবিদগণ অংশ নেবেন। জুমার নামাজে বিশেষ খুৎবা ও মিলাদ-কেয়াম অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষ মোনাজাতে দেশ ও মুসলিম বিশ্বের শান্তি কামনা করা হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অনুষ্ঠানগুলোর আয়োজন করা হয়েছে। প্রত্যেকের জন্য মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের ব্যবস্থা রাখা হবে বলেও গাউসিয়া কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. মোসাহেব উদ্দীন বখতিয়ার দৈনিক আজাদীকে জানিয়েছেন।