চন্দনাইশ পৌরসভার চৌধুরীপাড়ার মানসিকভাবে অসুস্থ যুবক মো. সেলিম উদ্দীন (৩০)। গত ২২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ঘর থেকে বের হলেও ৫ দিন পর লাশ হয়ে ফিরলেন বাড়িতে।
গত ২৪ অক্টোবর ভোরে রক্তাক্ত অবস্থায় সাতকানিয়ার কেরানীহাট থেকে উদ্ধারের পর তাকে প্রথমে চন্দনাইশ হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকালে তিনি মারা যান।
নিহত সেলিমের বড় ভাই মো. মনসুর জানান, গত দুই-আড়াই বছর পূর্ব থেকে তার ভাই সেলিম মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার ভাই ছিলেন পেশায় মোটরযান চালক। মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ার পর তিনি চালক পেশা ছেড়ে দেন। ওষুধ সেবন করলে তিনি কিছুদিন ভালো থাকেন।
গত বৃহস্পতিবার সকালে মনসুর শহরে চলে যাওয়ার পর তার ভাই সেলিমও ঘর থেকে বের হয়ে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদস্থ তাদের পুরোনো গাড়ি বেচাকেনার অফিসে আসেন। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর একটি ফোন পেয়ে তিনি অফিস থেকে হঠাৎ বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। পরবর্তীতে তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়ায় তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেন তারা।
পরদিন শুক্রবার চমেক হাসপাতালেও খোঁজ করা হয়। সেখানেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তার পরদিন শনিবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে সাতকানিয়ার কেরানীহাটে তাকে আহত অবস্থায় নালায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় চালকরা ফোনে বিষয়টি জানানোর পর সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে চন্দনাইশ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে গতকাল সোমবার (২৬ অক্টোবর) তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান।
মনসুর বলেন, “কী কারণে কারা আমার ভাইকে এভাবে অমানবিকভাবে নির্যাতন করেছে তাও জানতে পারিনি। কারো সাথে আমাদের পূর্ব শত্রুতাও ছিল না।”
সেলিমের সংসারে স্ত্রী ও ছোট ২টি সন্তান রয়েছে।
আজ বাদ মাগরিব নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পারিবারিকভাবে আলোচনা করে এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।