‘চোখ গেল, চোখ গেল’– কবির কথায় চোখের গন্তব্য জানা না গেলেও চোখে চোখ পড়া কিংবা চোখের ভাষা বোঝার অনুভূতি সম্পন্ন মানুষ নিতান্তই কম নয়! সামপ্রতিককালে, চোখের বিচিত্র ভাব ভঙিমা নিয়ে কোন গবেষণা হয়েছে কিনা আপাত : জানা না গেলেও চোখের কর্মক্ষমতা সম্পর্কে বেশ আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় চোখের পাতার নড়াচড়া ও নাকি কথা কয়ে ওঠে! ছোটকালে ‘চোখের বালি’ শব্দের ভেতরার্থ বুঝতে না পারলে ও এখন কিন্তু এ বালি যে হিংসা বিদ্রুপ আর শত্রুতার বায়বীয় রুপ তা বেশ টের পাওয়া যায়।
বিশেষ করে কেউ যখন চোখের মাথা খেয়েছো বলে তিরস্কারের আঙুল তুলে তখন চোখের সাথে মাথা ও খানিকটা কাত হয় বৈকি! চোখ নিয়ে কবির কল্পনা, প্রেমিকের প্রণয় প্রকাশ অথবা বিষাদের ফোঁটা জল আঁখি কোলে ঝরে পরা সবই যেন চোখের মহিমা কীর্তন! তবে, জগৎ সংসারের এই বিচিত্র বৈভব, এই অপূর্ব সৃষ্টিশীলতা, এই সবুজ শ্যামল বৃক্ষরাজী, সাগর নদী ফেনিল জলরাশি অথবা নভোমণ্ডলের গ্রহ নক্ষত্র, গ্যালাঙি সৌরমন্ডল এইসব সৃষ্টির পেছনের সেই পরাক্রম প্রভুর অস্তিত্বকে দেখার, ছোঁয়ার অনুভব করার এক শক্তিশালী মাধ্যম যেন এইচোখ! যে চোখ আলো দেখায়! যে চোখ আলোর পথে হাঁটায়!