ভুয়া সীল এবং স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভুয়া ওয়ারেন্ট ইস্যু করে ছয়দিন জেল খাটানোর অপরাধে আট আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল চট্টগ্রাম ২য় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালতে আসামিরা আত্মসমর্পণপূর্বক জামিন চাইলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী বখতেয়ার উদ্দিন।
কারাগারে প্রেরণ করা আসামিরা হলেন, টিংকু বড়ুয়া, পরিতোষ বড়ুয়া, সনক বড়ুয়া, মুকুল বড়ুয়া, বাবুল বড়ুয়া, মিলন বড়ুয়া, প্রতাপ বড়ুয়া ও শিমুল বড়ুয়া। আসামিরা সবাই পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা। এদের মধ্যে মুকুল বড়ুয়া এডিএম (উত্তর) কোর্টে দৈনিক ভিত্তিতে কর্মচারী, শিমুল বড়ুয়া পটিয়ার স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দপ্তরি, সনক বড়ুয়া স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী এবং প্রতাপ বড়ুয়া অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক।
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী দেবাশীষ বড়ুয়া গতকাল সোমবার আজাদীকে জানান, জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আসামিরা সুকৌশলে জালিয়াতির মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে একটি ভুয়া ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছিলেন। সেই ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে ২০১৭ সালে ২৬ জুলাই পটিয়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠান। ৩০ জুলাই তিনি জামিনে মুক্ত হয়েছেন। ওই সময় আদালতে পটিয়া থানা পুলিশ ভুয়া ওয়ারেন্টে তাকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। অথচ ওই সময় তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না।
দেবাশীষ বড়ুয়া বলেন, ২০১৯ সালের ৩ এপ্রিল এ ঘটনায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করি। এসময় আদালত অভিযোগটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছিল। কিছুদিন আগে সিআইডি ওই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত বুধবার আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করতে এসেছিলেন। পরে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন।