পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা এলাকা থেকে গত শনিবার দুপুরে উদ্ধার করা রগ কাটা অজ্ঞাত লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। ভাবীর সাথে পরকিয়ার বলি হলেন সেই যুবক। উদ্ধারকৃত লাশটি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন পুরানচর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের পুত্র মো. নবী হোসেনের (২৭)। পরকিয়ার জের ধরে প্রবাসী নবী হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে দুই পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়। হত্যার ঘটনায় নবী হোসেনের ভাই কবির হোসেন বাদী হয়ে গতকাল রোববার পটিয়া থানায় আনোয়ার হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী ও পুত্রসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নবী হোসেন দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। করোনা পরিস্থিতির শুরুতে দেশে আসেন তিনি। সৌদি প্রবাসী মামাতো ভাই আনোয়ার হোসেনের স্ত্রীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত মার্চ মাসে তিন সন্তানের জননী ওই নারী ও নবী হোসেন বাড়ি থেকে পালিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। ওই নারীর স্বামী আনোয়ার হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির সঙ্গে একটি পরিচয়পত্র ছিল। এর সূত্র ধরে পুলিশ খুনের প্রাথমিক তথ্য উদঘাটন করে।
পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. আক্কাস মিয়া জানান, চট্টগ্রাম-কঙবাজার আরকান মহাসড়কের পটিয়ার কুসুমপুরা ইউনিয়নের রাস্তার পাশে ঝোপে প্রবাসী নবী হোসেনের মরদেহ কে বা কারা ফেলে যায়। পরকিয়ার জের ধরে তাকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় পটিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে।