মধ্যবর্তী নির্বাচনের নামে টালবাহানার প্রয়োজন নেই : কাদের

| রবিবার , ১৮ অক্টোবর, ২০২০ at ৪:২৭ পূর্বাহ্ণ

সরকারের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ে বিরোধী পক্ষের মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি নাকচ করে দিয়ে বিষয়টিকে মধ্যবর্তী টালবাহানা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল শনিবার নিজের বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, একটি মহল মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা বলছে। সরকার পরিবর্তন চাইলে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। জনগণ চাইলে আমরা আবার আসব, আর না চাইলে সরে দাঁড়াব। শেখ হাসিনা ক্ষমতার জন্য চোরাগলি খোঁজেন না, তার আস্থা এদেশের মাটি, মানুষ আর জনগণের ওপর। ষড়যন্ত্র করে নয়, দেশের উন্নয়নের মাধ্যমেই মানুষের মন জয় করতে চায় আওয়ামী লীগ। তাই মধ্যবর্তী নির্বাচনের নামে মধ্যবর্তী কোনো টালবাহানার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন নেই মধ্যবর্তী কোনো ইস্যু তৈরির। সময় এলেই নির্বাচন হবে, দেশের মানুষ তখন পরবর্তী সরকার কে হবে তা ঠিক করবে। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, দেশ যখন এগিয়ে চলে তখন একটি অপশক্তি দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। সে ষড়যন্ত্র আবারও শুরু হয়েছে। দেশে-বিদেশে কোথায় বৈঠক হচ্ছে, কী ষড়যন্ত্র চলছে তার খবর অজানা নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে গুজব। করা হচ্ছে মিথ্যাচার, চালানো হচ্ছে অপপ্রচার।

একটি অপশক্তি মিথ্যাচারের মাধ্যমে সরকার ও জনপ্রশাসনে অস্থিরতা তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারকে টার্গেট করতে গিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে তারা। সরকারের অন্ধ সমালোচনা করতে গিয়ে বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের অবস্থানকে দুর্বল করে তুলছে। যারা জনগণের কাছে যাওয়ার সাহস পায় না, ক্ষমতায় যেতে অন্ধকারের চোরাগলি খোঁজে, দেশের ইমেজ নষ্ট করে, তাদের সম্পর্কে জনগণ সতর্ক রয়েছে, জনগণ এসবে এখন আর বিশ্বাস করেনা।
দেশে গণতন্ত্র নেই বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যাদের দলে গণতন্ত্র নেই, তারা কীভাবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে? গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তন হবে নির্বাচনের মাধ্যমে কিন্তু তারা নির্বাচনে যেতে চায়না। গেলেও তা লোক দেখানো এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। নির্বাচনে জিতলে বলে, আরও বেশি ভোটে জিততে পারত, হারলে দায় চাপায় নির্বাচন কমিশন আর সরকারের ওপর।
কাদের বলেন, করোনা সংকট মোকাবেলায় সরকারের সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের অর্থনীতি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন প্রায় চল্লিশ বিলিয়ন ডলার। বাড়ছে রপ্তানি এবং প্রবাসী আয়। বিশ্ব ক্ষুধাসূচকে ভারত-পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে এগিয়েছে বাংলাদেশ। আর্থসামাজিক প্রায় সকল সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য বাংলাদেশ। উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব অর্থনীতির বিস্ময়।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে জানিয়ে আসন্ন শীতে সম্ভাব্য ঝুঁকি রোধে সতর্ক থাকতে এবং স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতৃতীয় বর্ষেই ২৭ মাস
পরবর্তী নিবন্ধকর্ণফুলীর সঙ্গে জাতীয় অর্থনীতির সম্পর্ক