রাঙামাটির কাউখালী ও কক্সবাজারের মহেশখালীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো ৬ জন।
আমাদের রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, কাউখালীর ঘাগড়ায় ট্রাক-সিএনজির সংঘর্ষে একজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় ঘাগড়া ইউনিয়নের ডাকবাংলো এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। কাউখালী থানার ওসি শহিদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত সিএনজি চালকের নাম মো. কালাম মুন্না। আহতরা হলেন মো. সিদ্দিকুর রহমান (৪০), সালমা আক্তার (২৮), ফাতেমা আক্তার (৪), রোকাইয়া আক্তার (৫) ও মো. সাকিব (২০)। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাঙামাটি মেডিকেল হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। আহত সবাই একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গতকাল সকালে রাঙামাটি থেকে চট্টগ্রাম আসার পথে ঘাগড়া ইউনিয়নের ডাক বাংলো এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী সিএনজির সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজি চালকের মৃত্যু হয়। রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. শওকত আকবর বলেন, আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে অন্যরা রাঙামাটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
কাউখালী থানার ওসি শহিদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনায় সিএনজি চালক নিহত হয়েছেন। ট্রাক ও সিএনজি জব্দ করা হয়েছে।
আমাদের মহেশখালী প্রতিনিধি জানান, মহেশখালীতে ইজিবাইকের (টমটমের) সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখী সংঘর্ষে নিশাত প্রিন্স সাগর (১৮) নামের এক কিশোর মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। সে উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মাহারাপাড়া গ্রামের মৃত শাহ আলমের ছেলে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোরক ঘাটা জনতা বাজার সড়কের শুকরিয়া পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে ।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, সাগর শুক্রবার রাতে পানিরছড়া বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে একজন সঙ্গীসহ বাড়ি ফিরছিল। এর মধ্যে শুকরিয়া পাড়া এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইজিবাইকের সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে নিশাত সাগরসহ ২ জনই গুরুতর আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইজিবাইক চালকসহ স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক নিশাত সাগরকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে সাগরের মৃত্যুর সংবাদ শুনে হাসপাতাল থেকে ইজিবাইক চালক পালিয়েছেন বলে জানা গেছে।