ইদানীং পত্রিকার পাতা খুললে কিংবা টিভির সংবাদের দিকে দৃষ্টিপাত করলে প্রায়ই চোখে পড়ছে ধর্ষণের ঘটনা! সমপ্রতি সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা এক স্বামীকে গাড়িতে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে সবাই মিলে গণধর্ষণ করে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ শেষে উলঙ্গ করে, পাশবিক নির্যাতন করেছে। ৭/৮ জন যুবক নির্যাতিত নারী তাদের পায়ে ধরে, ‘বাবা’। ডেকেও নির্যাতন থেকে মুক্তি পায়নি। এর আগে খাগড়াছড়িতে ঘরে ঢুকে এক প্রতিবন্ধী তরুণীকে গণধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা।
যারা এই জঘন্য অপরাধ করে, তাদের কোনো পরিচয় হয় না। এদের পরিচয় এরা মানুষরূপী জানোয়ার, এদের একটাই পরিচয় এরা ধর্ষক।’ এদের জন্ম হয়েছে, সমাজকে কলুষিত করতে, দেশকে কলুষিত করতে। এসব নরপশুদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া চলবে না। বিভিন্ন সময় অনেক ধর্ষক সমাজের বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় থাকার ফলে ধর্ষণের মতো মারাত্মক অপরাধ করেও, পার পেয়ে যায়; আমাদের দেশে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সঠিক বিচার নেই। সঠিক পদক্ষেপ নেই, নেই ধর্ষকের সাজা; যার কারণেই একজন ধর্ষক এমন খারাপ একটা কাজ করার পরেও সমাজে বুক ফুলিয়ে চলে এবং পুনরায় সেই একই কাজ করতে সাহস পায়; তাই এই সব ধর্ষকদের এমন শাস্তি দেয়া উচিত যাতে, দ্বিতীয় কেউ এই পাপ কাজটি করার আগে শতবার চিন্তা করে; কারণ ছেলেরা ছাড়া পেয়ে আবার একই কাজ করছে। আর ধর্ষণের শিকার মেয়েকে জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে!
– আল-আমিন আহমেদ, শিক্ষার্থী, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ