ইসলামে ধর্ষণের শাস্তি
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। যিনি মানব জাতির সৃষ্টি প্রসঙ্গে এরশাদ করেছেন, “হে মানবজাতি! তোমরা নিজেদের প্রতিপালক কে ভয় করো, যিনি তোামাদেরকে এক আত্মা বা ব্যক্তি থেকেই সৃষ্টি করেছেন। এবং যিনি তারই থেকে তার জোড়া (সঙ্গিনী) সৃষ্টি করেছেন। যিনি তাদের দু’জন থেকে বহু নরনারী ছড়িয়ে দিয়েছেন।” (আল কুরআন, ৪:১)
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই। তিনি একক অদ্বিতীয়, তাঁর কোন অংশীদার নেই। আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি বিশ্ব মানবতার নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রিয় বান্দা ও প্রিয় রাসূল। তাঁর প্রতি দরুদ সালাম বর্ষিত হোক। তাঁর পবিত্র বংশধরগণ, সম্মানিত সাহাবাগণ, কিয়ামত অবধি তাঁদের অনুসৃত পন্থা ও আদর্শের অনুসারীদের প্রতি অসংখ্য করুণাধারা বর্ষিত হোক।
সম্মানিত মুসলিম ভাইয়েরা! নারী জাতির মর্যাদা, অধিকার ও নিরাপত্তার ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করুন। ইসলাম পূর্ব যুগে সমাজে নারী জাতির কোনো সামাজিক মর্যাদা ও অধিকার ছিলনা। সর্বদিক থেকে তারা নিগৃহীত, লাঞ্ছিত ও অবহেলিত ছিল। পরিবারে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করাকে অপমান মনে করা হতো। তাদেরকে জীবন্ত প্রোথিত করা হতো। সেই করুণ পরিস্থিতির বর্ণনা প্রসঙ্গে আল্লাহতা’য়ালা এরশাদ করেছেন, “তাদের কাউকে যখন কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণের সুসংবাদ দেয়া হয়। তার চেহারা হয়ে যায় কালো ও মলিন। মনোকষ্টে তার হৃদয় হয়ে উঠে ভারাক্রান্ত। এই দু:সংবাদের কারণে সে নিজেকে লোক চক্ষু হতে আড়াল করে চলতে থাকে আর মনে মনে ভাবতে থাকে অপমান ও লাঞ্চনা সহ্য করে। তাকে জীবিত থাকতে দিবে না মাটির নীচে পুঁতে ফেলবে? আহ! কত জগণ্য ও নিষ্ঠুর তাদের বিচার বিবেচনা।
(সূরা: নাহল , আয়াত: ৫৮-৫৯)
ইসলামই নারী জাতির মর্যাদাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। তাদের বেঁচে থাকার অধিকার, নিরাপত্তার অধিকার, শিক্ষার অধিকার, পরিবার গঠনের অধিকার, পর্দাসহকারে ঘরের বাইরে কাজ করার অধিকার, স্বাধীন মতামত প্রকাশ ও পরামর্শ দানের অধিকার ইসলামই নিশ্চিত করেছে। ইসলাম নারী জাতিকে মা-রূপে, কন্যা রূপে, স্ত্রী রূপে তাঁদের প্রতি উত্তমরূপে সদাচরণ করার নির্দেশ দিয়েছে।
ইসলামে যিনা ব্যভিচার কাঠোরভাবে নিষিদ্ধ: নগ্নতা, অশ্লীলতা, উলঙ্গপনা, বেহায়াপনা, আজকের সমাজে আধুনিক সভ্যতার ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। নারী স্বাধীনতার নামে নারী পুরুষের অবাধ মেলা-মেশার অধিকার, এক শ্রেণির নারীরা নগ্নতা, অশ্লীলতা ও সৌন্দর্য প্রদর্শনের নগ্ন ও অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। নারীরা আজকে নিজেরা নিজেদের সর্বনাশ ডেকে এনেছে। নারী ধর্ষণ, গণধর্ষণ, নারী গণমাধ্যম, পত্র-পত্রিকা ও সোসাল মিডিয়াতে প্রধান আলোচ্য বিষয়। একটি মুসলিম রাষ্ট্রে প্রকাশ্যে প্রতি নিয়ত ধর্ষণ, গণধর্ষণের সংবাদ ভাইরাল করা হচ্ছে। জাতি হিসেবে আমরা আজ লজ্জিত। বিশ্বের কাছে আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের গৌরব মর্যাদা ও ঐতিহ্য আজ ভুলুণ্ঠিত। অথচ মহান আল্লাহতা’য়ালা মানব জীবনের পবিত্রতা বিধানে যিনা, ব্যভিচার ও অশ্লীলতাকে জগণ্য নিকৃষ্টতম অপরাধ হিসেবে ঘোষনা করেছেন। এরশাদ করেছেন, “ তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। নিশ্চয় তা অশ্লীল এবং নিকৃষ্ট আচরণ। (সূরা: বণী ইসরাঈল, আয়াত: ৩২)
বর্ণিত আয়াতের ব্যাখ্যায় আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা (র.) অনুদিত কানযুল ঈমান ও মুফতি আহমদ ইয়ার খান নঈমী কৃত তাফসীর নূরুল ইরফান এ উল্লেখ হয়েছে, যিনার উপকরণাদি থেকেও বেঁচে থাকো। পর নারীর প্রতি কুউদ্দেশ্য দৃষ্টিপাত, পরনারীর সাথে একাকীত্ব, নারীর পর্দাহীনতা ইত্যাদি সবই হারাম। পর্দা ফরজ হওয়া, অশ্লীল গান বাজনা, বাদ্য বাজনা, হারাম হওয়া, দৃষ্টিকে নিম্নগামী করা ইত্যাদি ইসলামী নির্দেশনা যিনা ব্যভিচার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই। পবিত্র কুরআনে আরো এরশাদ হয়েছে, “আপনি বলুন! আমার প্রতিপালক হারাম (নিষিদ্ধ) করেছেন সকল প্রকার অশ্লীলতা তা প্রকাশ্য হোক আর অপ্রকাশ্য হোক। (সূরা: আ’রাফ, পারা:-৮, আয়াত: ৩৩)
আয়াতে বর্ণিত “ফাওয়া-হিশা” বহুবচন শব্দটি দ্বারা কুফর, শির্ক ও যিনা ব্যভিচার যা প্রকাশ্যভাবে করলে যেমন কুফর, তেমনি বাতেনী বা গোপনে করলেও কুফরি। (তাফসীরে নূরুল ইরফান)
বাহ্যিকভাবে সৎ থাকা আর গোপনে গোনাহ করা তাকওয়া নয় বরং লৌকিকতা মাত্র। তাকওয়া হচ্ছে সর্বাবস্থায় আল্লাহকে ভয় করা। রিয়াকারী প্রকাশ্য ফাসিক পাপাচারী অপেক্ষা বেশী ভয়ানক।
যিনা ব্যভিচার হত্যাযোগ্য অপরাধ: ধর্মত্যাগী, যিনাকারী ও হত্যাকারী ব্যক্তিকে ইসলামে হত্যা করার বিধান দেয়া হয়েছে। কিন্তু এ বিধান রাষ্ট্রকে কার্যকর করতে হবে। আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে যে কোন মুসলমান হত্যা করতে পারেনা। (তাফসীর নূরুল ইরফান)
ব্যভিচারীর শাস্তি: সমাজকে অপরাধমুক্ত করতে হলে ইসলামী দণ্ড বিধি বা শাস্তির বিধান কার্যকর করার বিকল্প নেই। ইসলামী আইন নর-নারী সকলের ক্ষেত্রে এক অভিন্ন। পুরুষ অপরাধ করলে তাকে শাস্তি দেয়া হবে একই অপরাধ কোন মহিলা করলে তাকেও শাস্তি দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান রহিত করা বা কম বেশী করার কারো অধিকার নেই। আল্লাহ তা’য়ালা যিনা ব্যভিচারের শাস্তির বিধান প্রসঙ্গে এরশাদ করেছেন, “ব্যাভিচারিনী মহিলা এবং ব্যাভিচারী পুরুষ এদের প্রত্যেককেই তোমরা একশত করে চাবুক মার। (সূরা: আন-নূর, আয়াত: ২)
পরস্পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ নয় এরূপ পুরুষ মহিলার যৌন মিলনের নাম যিনা। নিজ স্ত্রী ছাড়া অন্য কোন নারীর সাথে নিজ স্বামী ছাড়া অন্য কোন পুরুষের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন এবং অবিবাহিত নারী পুরুষের যৌন সম্পর্ক যিনার অন্তর্ভুক্ত। হযরত ইমাম আযম আবু হানিফ (র.)’র মতে যিনার নির্ধারিত শাস্তি হচ্ছে শুধু একশটি চাবুকাঘাত। এক বছরের জন্য দেশান্তর করা, যিনার নির্ধারিত শাস্তির অন্তর্ভূক্ত নয়, হাদীসে এক বছরের জন্য দেশান্তরের নির্দেশও এসেছে তা হচ্ছে তা’যিরী বিচারক কর্তৃক নির্ধারিত অতিরিক্ত শাস্তি। বিচারক যদি উপযুক্ত মনে করেন তাও দিতে পারেন। সুতরাং আয়াত ও হাদীসের মধ্যে পরস্পর কোন বিরোধ নেই। আয়াতে শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে, হাদীস শরীফে অতিরিক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শরীয়তের এ শাস্তির বিধান রাষ্ট্রের শাষকগণই জারী করতে পারেন। বিবাহিত নারী-পূরুষ যদি ব্যভিচারে লিপ্ত হয় সেক্ষেত্রে শাস্তি হচ্ছে তাদেরকে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা।
শাস্তি কার্যকর করতে বিচার হবে নিরপেক্ষ : শরীয়ত সম্মত শাস্তির বিধান কার্যকর করতে পক্ষপাতিত্ব করা যাবেনা। দুর্বল ব্যক্তির প্রতি সমাবেদনা প্রদর্শন করে তাকে ক্ষমা করা যাবে না। প্রভাবশালী অপরাধীর প্রভাবের কারণে ভীত হয়ে তাকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া যাবেনা। এতে অপরাধীরা উৎসাহিত হবে। অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি পাবে। ইনসাফ ভুলুণ্ঠিত হবে, রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও ব্যবস্থাপনা ব্যাহত হবে। জনমনে ক্ষোভ সঞ্চার হবে অরাজকতা ও অশান্তি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে।
একশ বেত্রাঘাতের শাস্তি : ইসলাম একশ বেত্রাঘাতের শাস্তিকে অবিবাহিত পুরুষ ও নারীর জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, “ বিবাহিত পুরুষ ও নারী যিনা ধর্ষণ করলে তাদেরকে প্রস্তারাঘাতে হত্যা করা হবে।
যিনা ব্যভিচারের কারণে মহামারী ছড়িয়ে পড়েছে : অন্যায় অবিচার পাপাচার ব্যভিচার নগ্নতা ও অশ্লীলতার বিস্তৃতির কারণে খোদায়ী শাস্তি করোনা মহামারী বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। নারীর প্রতি সাম্প্রতিক সময়ে নির্যাতন নিপীড়ন ধর্ষণ সহিংসতা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটবে। দেশবাসীর জন্য সুসংবাদ হচ্ছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ ধর্ষকদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড আইন মন্ত্রী সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে। এ আইন দ্রুত কার্যকর হলে ধর্ষণ বহুলাংশে কমে যাবে। হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে, “যখন কোন জাতির মধ্যে অশ্লীলতা এমনভাবে বিস্তার লাভ করে যে তারা প্রকাশ্যে অশ্লীলতায় লিপ্ত হতে থাকে তখন তাদের মধ্যে এমন সব মহামারী প্লেগ রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে যা তাদের পূর্ব পুরুষদের মধ্যে প্রসারিত ছিল না। (ইবনে মাযাহ শরীফ, হাদীস নং : ১৩৩২)
পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা: হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সত্য সহকারে প্রেরণ করেছেন। আর তাঁর উপর কিতাব অবতীর্ণ করেছেন, আর আল্লাহর অবতীর্ণ বিষয়াদির একটি ছিল রজমের আয়াত। আমরা সে আয়াত পাঠ করেছি, আয়ত্ত করেছি, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাথর মেরে হত্যা করেছেন। আমরাও তাঁর পরে পাথর মেরে হত্যা করেছি। আমি আশঙ্কা করছি যে, দীর্ঘকাল অতিবাহিত হবার পর কোনো লোক এ কথা বলে ফেলতে পারে যে, আল্লাহর কসম আমরা আল্লাহর কিতাবে পাথর মেরে হত্যার আয়াত পাইনি। ফলে তারা এমন একটি ফরজ ত্যাগের কারণে পথভ্রষ্টতায় নিমজ্জিত হবে যা আল্লাহ অবতীর্ণ করেছেন। আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী ঐ ব্যক্তির উপর পাথর মেরে হত্যা অবধারিত যে বিবাহিত হবার পর যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হয়। সে পুরুষ হোক বা নারী হোক, যখন সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাবে অথবা শর্ত বা স্বীকারোক্তি পাওয়া যাবে। (বোখারী শরীফ)
ব্যভিচারী পুরুষ মহিলা যদি বিবাহিত হয় তাদের হুকুম হল শুধু রজম। পক্ষান্তরে ব্যভিচারী পুরুষ-মহিলা যদি অবিবাহিত হয় সেক্ষেত্রে হুকুম হল একশত বেত্রাঘাত ও এক বছর নির্বাসন (ফাতহুল বারী, সহীহ বোখারী দন্ড বিধি অধ্যায় ৩১, হাদীস: ৬৮৩০)
ব্যভিচারীর স্বীকারোক্তি: হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহর দরবারে আসল, নবীজি তখন মসজিদে ছিলেন লোকটি বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি যিনা করেছি। নবীজি তার থেকে চেহারা মুবারক ফিরিয়ে নিলেন, এভাবে লোকটি চারবার কথাটি পুনরাবৃত্তি করল যখন সে নিজের বিরুদ্ধে চারবার সাক্ষ্য প্রদান করল তখন নবীজি তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন তোমার মধ্যে কি পাগলামীর দোষ আছে? সে বলল না! তিনি বললেন, তাহলে কি তুমি বিবাহিত? সে বলল হ্যাঁ তখন নবীজি বললেন তাকে নিয়ে যাও এবং রজম কর। জাবের (রা.) বললেন, আমি তার রজমকারীদের মধ্যে একজন। আমরা তাকে জানাযার স্থানে রজম তথা পাথর নিক্ষেপ করি। পাথরের আঘাতে অসহ্য হয়ে সে পালাতে লাগল আমরা হাররা নামক স্থানে তাকে ধরে ফেললাম সেখানে তাকে রজম করলাম। (সহীহ বোখারী শরীফ, হাদীস : ৬৮১৫)
এতে প্রমাণিত হলো বিবাহিত যিনাকারীর শাস্তি হলো রজম। অসুন আমরা নৈতিক অবক্ষয় রোধে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচারহীনতা ও বিচারের দীর্ঘসূত্রতা বন্ধে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই। সরকার প্রশাসন ও আইন মন্ত্রনালয়ের সংশ্লিষ্টরা ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি জানাই অভিনন্দন। এটাই দেশের সতের কোটি শান্তিকামী মানুষের প্রত্যাশা ছিল। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। পবিত্র কুরআনের বরকত আমাদের দান করুন। নিশ্চয় আল্লাহ মহান দানশীল, সৃষ্টি জগতের মালিক, পুণ্যময় অনুগ্রহশীল ও দয়ালু। আমীন।
লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী), বন্দর, চট্টগ্রাম, খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।