মহেশখালীতে এক স্কুলছাত্রী প্রেমের ফাঁদে পড়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, রাতের অন্ধকারে দেখা করার কথা বলে ওই ছাত্রীকে ধানক্ষেতে নিয়ে যায় প্রেমিক। এরপর তাকে জিম্মি করে তিন বন্ধু মিলে গণধর্ষণ করে। তবে ঘটনা এখানেই শেষ নয়। ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে একদিন পর ২০ হাজার টাকা চাঁদাও দাবি করে তারা।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১ অক্টোবর। মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের দেবাঙ্গাপাড়া গ্রামে। এদিকে সামাজিক লাজ-লজ্জার ভয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার বিষয়টি লুকাতে চাইলেও ধর্ষকের উল্টো চাঁদা দাবি করায় ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়। দাবিকৃত চাঁদা নিতে এসে স্থানীয় মেম্বার ও জনতার হাতে আটক হয় কথিত প্রেমিক এবাদুল্লাহ। তিনি একই ইউনিয়নের গুলগুলিয়া পাড়া গ্রামের মো. আলী প্রকাশ নবাব আলী মিস্ত্রীর পুত্র।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. এরফান উল্লাহ বলেন, ওই স্কুল ছাত্রী ৯ম শ্রেণিতে পড়ে। সম্প্রতি মোবাইল ফোনে এবাদুল্লাহর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। দেখা করার কথা বলে তাকে ঘরের বাইরে নিয়ে যায় এবাদুল্লাহ। ঘটনাস্থলে আগে থেকে উৎ পেতে ছিল এবাদুল্লাহর অপর দুই বন্ধু মোহাম্মদ আলীর পুত্র খাইরুল আমিন ও আলী আহমদের পুত্র নুরুল হাকিম। তারা তিনজন মিলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে এবং তার ভিডিও ধারণ করে।
তিনি আরো বলেন, চাঁদা দাবির পরেই ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে ঘটনাটি জানান। এরপর ১২ অক্টোবর রাতে ফাঁদ পেতে এবাদুল্লাহ ও খায়রুল আমিনকে আটক করা হয়। তারা চাঁদার টাকা নিতে এসেছিল। এ সময় স্থানীয় আকতার কামালের পুত্র আশরাফুল ইসলাম রাসেল প্রভাব খাটিয়ে খাইরুল আমিনকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। পরে এবাদুল্লাহকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
মহেশখালী থানার ওসি মো. আব্দুল হাই বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার এবাদুল্লাহ আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় জড়িত অপর দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলেছে বলে জানান তিনি।