সাদাসিধে ধরনের দুই ব্যক্তি দাঁড়িয়ে ছিলেন নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন নতুন রেলস্টেশন এলাকায়। তাদের কৌশল দেখে পুলিশ কর্মকর্তাদের চোখও ছানাবড়া হবার মতো অবস্থা।
প্লাস্টিকের ব্যাগের তলায় গাম লাগিয়ে, সাবানের ভিতরে ও ছাতার হাতলের ভিতর দিয়ে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে ইয়াবা নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা।
মো. ছাইকুল ইসলাম ও তার সঙ্গী মো. আইয়ুব এতোসব কৌশল করেও শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। বাংলানিউজ
পুলিশ শুধু এ দু’জনকেই নয়, তাদের সঙ্গে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে।
তাদের কাছ থেকে মোট ৫ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতার তিনজন হলো কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার যশোদল নয়াপাড়া এলাকার মো. কাইয়ুমের ছেলে মো. ছাইকুল ইসলাম (৫০), কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন মধ্যম জালিয়াপাড়া এলাকার মো. জাকিরের ছেলে মো. আইয়ুব (৪১) এবং সাতকানিয়া থানাধীন মাদার্শা এলাকার আলী মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪৬)।
তাদের মধ্যে প্রথমে মো. ছাইকুল ইসলাম ও মো. আইয়ুবকে নতুন রেলস্টেশন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের দেওয়া তথ্যে খুলশী থানাধীন বাঘঘোনা এলাকার একে খান বাংলোর স্টাফ কোয়ার্টার থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করা হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) নোবেল চাকমা বলেন, “নতুন রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. ছাইকুল ইসলাম ও তার সঙ্গী মো. আইয়ুবকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে একে খান বাংলোর স্টাফ কোয়ার্টার থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।”
নোবেল চাকমা বলেন, “তাদের ইয়াবা পাচারের কৌশল দেখে আমরা হতবাক হয়েছি। প্লাস্টিকের ব্যাগের তলায় গাম লাগিয়ে, সাবানের ভিতরে ও ছাতার হাতলের ভিতর দিয়ে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে ইয়াবা নিয়ে যাচ্ছিল তারা। এতোসব কৌশল করেও শেষ পর্যন্ত আমাদের হাতে ধরা পড়েছে। চট্টগ্রাম থেকে কিশোরগঞ্জ নিয়ে যাচ্ছিল এসব ইয়াবা।”
এনায়েত বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মৃনাল কান্তি মজুমদার বলেন, “তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।”