হাতেখড়ি দেবার পর মা বাবার হাত ধরে স্কুলে পদার্পণ করি। সেই থেকে আজ অবধি এতদিন স্কুল প্রাঙ্গণ ছাড়া কখনও ছিলাম না। নিজের লেখাপড়া করতে করতে বিবাহিত জীবনে পদার্পণের পর নিজের সন্তানদের নিয়ে স্কুলে নিয়মিত যাতায়াত। পরে নিজে শিক্ষকতার সাথে জড়িত।
প্রতিদিন ঘড়ির দিকে তাকালে বিদ্যালয়ে যাবার সময় যখন হয় তখন মনটা কেমন করে। বিদ্যালয়ে সেই ছুটির ঘন্টা। ছুটির পর মাঠে উল্লসিত ছেলে মেয়ের মুখগুলো খুব মনে পড়ে- ওদের অভিযোগ হাসি, কান্না, কতো রকমের আবদার, টিফিন পিরিয়ডে ভাগাভাগি করে টিফিন খাওয়া। নিজেকে ছোটবেলায় নিয়ে যায়।
দুই ধরনের ছাত্রদের কথা বেশি মনে থাকে এক খুব দুষ্ট, আর দুই ভালো ছাত্র শান্ত ও মেধাবী। এরা দুষ্ট হলেও একসময় তারা প্রিয় হয়ে ওঠে মনের অজান্তে।
সারা বছর ব্যস্ততায় কেটে যেতো সময় কখন সিলেবাস শেষ হবে, পড়াটা ছাত্রদের কিভাবে বুঝিয়ে দিয়ে পরীক্ষার উপযোগী করে তোলা। মা বাবার পাশাপাশি টিচারেরও আমার মনে হয় টেনশন হয়। ছাত্রদের কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট নিয়ে। যদিও অনলাইন ক্লাস হচ্ছে আসলে ছাত্ররা এতে কতটুকু উপকৃত হচ্ছে বলা যাচ্ছে না। যে মোবাইল হাতে দিতে একসময় নিষেধ করা হতো সেই মোবাইল নিয়ে সারাদিন থাকছে লেখাপড়ার অজুহাতে। এ বছর নেই পরীক্ষার চিন্তা নেই ফলাফলের দিনের টেনশন। স্কুল ছাড়া ওরা কাটিয়ে দিল একটি বছর। কেমন কাটছে এসব শিক্ষার্থীর দৈনন্দিন জীবন। যারা স্কুলে আসতে চাইতো না তারাও কেমন কাটাচ্ছে দিন এ প্রজন্ম চরম অবহেলায়, কাটিয়ে দিল ২০২০ সালের একটি শিক্ষাবর্ষ। মিস করল একবছরের স্কুল ছাড়া একটি শিক্ষা জীবন।