টেকনাফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করা শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীরা জামিনে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে।
উচ্চ আদালতের জামিনে শুক্রবার একদিনেই কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে ৫ শীর্ষ ইয়াবা কারবারি।
জামিনে মুক্ত আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারীরা হলো টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম লেদার মৃত হাজী আবুল কাশেম’র ছেলে নুরুল হুদা মেম্বার (৩৮), তার ভাই নুরুল কবির (৩৬), টেকনাফের সাবরাং মুন্ডার ডেইলের মোঃ হোসাইনের ছেলে মঞ্জুর আলী (৩৫), হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ার মৃত রশিদ আহম্মদের ছেলে মাহবুব আলম (৩৬) এবং নাইট্যং পাড়ার মৃত আবদুল খালেকের ছেলে মো. ইউনুছ (৪৮)।
কক্সবাজার কারাগারের জেল সুপার নেছার আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। উচ্চ আদালতের দেয়া জামিনে শুক্রবার তাদের কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয় বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, কারামুক্ত হয়ে পাঁচজনই টেকনাফে নিজেদের বাড়িতে ফিরে গেছে। তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী।
এর আগে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ইয়াবার মূলহোতা বলে পরিচিত সাইফুল করিমের ছোট ভাই রাশেদুল করিমসহ আরও কয়েকজন।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের টেকনাফ পাইলট স্কুল মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ১০২ ইয়াবা কারবারি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল।
ঐ সময় তারা সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা, ৩০টি অস্ত্র ও ৭০ রাউন্ড গুলিও জমা দেয়।
আত্মসমর্পণকারী ১০২ জন ইয়াবা কারবারির মধ্যে একজন বাদে বাকি ১০১ জনের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জ গঠন করা হয়।
কারাগারে বন্দী অবস্থায় একজনের মৃত্যু হওয়ায় তাকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার মুক্ত হওয়া ইয়াবা কারবারিদের পাশাপাশি আত্মসমর্পণকারী আরও কয়েকজন শীর্ষ ইয়াবা কারবারি ইতোমধ্যে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।
তারাও জামিন সংক্রান্ত কাগজপত্র কক্সবাজার জেলা কারাগারে পৌঁছানোর অপেক্ষায় রয়েছেন। কাগজ পৌঁছালে কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন তারা এমনটি আশা করছেন তাদের স্বজনরা।