কাপ্তাই রাস্তার মাথায় বৃহস্পতিবার রাতে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার আট জনের মধ্যে ‘লেবুর মা’ নামে পরিচিত মনোয়ারা বেগমের বক্তব্যে জানা গেছে ওই রাতে ১৫/১৬ জন মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করে।
পুলিশ সংবাদ সম্মেলনে ভিকটিম নারীর বর্ণনা অনুযায়ী দাবি করেছে ওই রাতে ৮/১০ জন মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। এদের মধ্যে সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপি উপ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক বলেন, মামলার তদন্তে যদি নতুন করে কারো সম্পৃক্ততার বিষয়টি ওঠে আসে তাহলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। এদিকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার মনোয়ারা বেগম (এলাকায় পরিচিত লেবুর মা বলে) আজাদীকে বলেন, ঘটনার সাথে বহু লোক জড়িত ছিল। ১৫/১৬ জনের মতো হবে। এরমধ্যে ৮/৯ জন মেয়েটিকে ধর্ষণ করতে পেরেছে। সবাই মেয়েটির সাথে খারাপ কাজ করতে পারেনি। বাকিরা ঘটনার সময় থাকলেও তারা সেই কাজ করার সুযোগ পায়নি। মনোয়ারা দাবি করেন, মেয়েটিকে বাঁচানোর জন্যই তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।
গণধর্ষণে যোগ দেওয়া বেশিরভাগ লোককেই মনোয়ারা চেনেন বলে দাবি করেন। তিনি ওই এলাকায় বহু বছর ধরে বসবাস করে আসছেন বলে জানান। এর আগেও আসামিদের অনেকেই এই ধরনের খারাপ কাজের সাথে জড়িত ছিল বলে জানান তিনি। এসময় মনোয়ারা নিজে পেটের তাগিদে অসামাজিক ব্যবসায় জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেন আজাদীর কাছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজেস বলেন, ‘ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোয়ারা প্রকাশ লেবুর মা ঘটনাস্থলে ছিলেন। মেয়েটিকে ধর্ষণের পর যখন ছেড়ে দেয়া হয়েছে তখন আসামিরা লেবুর মাকে কিছু টাকাও দিয়েছিলেন। সেই টাকা দিয়ে চা-নাস্তাও খেয়েছেন লেবুর মা। এই অপরাধের সাথে লেবুর মা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। ধর্ষণকাণ্ডে মূলত পাহারা দিয়েছিলেন।’
পুলিশ জানিয়েছে, ভুক্তভোগী নারী চকবাজার গণি কলোনি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তার এক ছেলে রয়েছে। অনেকদিন হয়েছে স্বামীর সাথে ভুক্তভোগী নারীর ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর চকবাজারে এক ছেলেকে নিয়ে বসবাস করছেন।