সাভারের আশুলিয়ায় দুই বান্ধবীকে গণধর্ষণের সময় ধারণ করা ভিডিও মাস খানেক পর প্রকাশ হওয়ার ঘটনায় প্রিন্স কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান প্রিন্স সারুফকে (১৪) আটক করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এই গ্যাংয়ের মোট চার সদস্যকে আটক করলো পুলিশ। বুধবার দুপুরে খুলনা থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে ভাদাইল ও নয়ারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও তিন জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও আট জন পলাতক রয়েছে। খবর বাংলানিউজের।
আটক প্রিন্স সারুফ নড়াইল জেলার আকরামের ছেলে। সে পরিবারের সঙ্গে আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় থেকে খাজা গরিবে নেওয়াজ স্কুলে লেখাপড়া করতো। বাকি আটকরা হলো- ডায়মন্ড আলামিন (১৪), জাকির (১৩) ও পান রাকিব (১৬)। পান রাকিব ভাদাইল এলাকায় মাঝে মধ্যে শাক বিক্রি করে বলে জানা গেছে। বাকি দুই জন শিক্ষার্থী। তারা সবাই প্রিন্স কিশোর গ্যাং এর সদস্য।
পুলিশ জানায়, আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থেকে একটি কারখানায় কাজ করতো ভুক্তভোগী দুই বান্ধবী। কারখানা ছুটি থাকায় তাদের প্রতিবেশী চাচার সঙ্গে ভাদাইল এলাকার গুলিয়ারটেক এলাকায় বেড়াতে গেলে প্রিন্স কিশোর গ্যাংয়ের ১২/১৪ জন সদস্য তাদের ঘিরে ফেলে। পরে ভুক্তভোগীর চাচাকে মারধর করে ও দুই বান্ধবীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে। ভিডিও ফাঁস হলে ভুক্তভোগীরা গ্রামে চলে যেতে বাধ্য হয়।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসওয়াত বলেন, এ ঘটনায় জড়িত তিন জনকে ভোর রাতে আটক করা হয়। পরে সারুফের অবস্থান শনাক্ত করে তার বাবা আকরামকে নিয়ে খুলনায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। বাকিদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।