কালুরঘাট সেতুর জন্য কাঁদলেন স্থানীয় সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদ। গতকাল বুধবার কালুরঘাটে রেল কাম সড়ক সেতুর জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শনে আসেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এসময় সেতুুর পূর্ব পাড়ে রেলমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আয়োজিত পথ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন স্থানীয় সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদ। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে আমি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলাম। আমি চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুধু ফরিয়াদ করতাম, মহান আল্লাহ যেন আমাকে জীবদ্দশায় নতুন কালুরঘাট সেতুটি দেখান। এখন আমি মৃত্যু পথযাত্রী- এই বলে তিনি কাঁদতে থাকেন। সমাবেশে উপস্থিত অনেক নেতাকর্মীরাও আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
এসময় অনেক নেতাকর্মীকে বলতে শোনা যায়, সাবেক সাংসদ মঈনুদ্দীন খান বাদলেরও আকুতি ছিল- মৃত্যুর আগে তিনি যেন কালুরঘাট নতুন সেতুটি দেখে যেতে পারেন। কিন্তু পারলেন না। এবার মোছলেম উদ্দিন আহমদের আকুতিতে কি সাড়া দেবে সরকার?
সমাবেশে মোছলেম উদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, বোয়ালখালীর দুঃখ হচ্ছে কালুরঘাট সেতু। আশ্বাসে-আশ্বাসে কত বছর চলে গেল। কিন্তু এখনো সেতু হল না। তিনি বলেন, ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী যখন কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু উদ্বোধনে আসলেন তখন আখতারুজ্জমান চৌধুরী বাবুও উপস্থিত ছিলেন। সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীকে আমরা চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ ১৬টি দাবি দিয়েছিলাম। এসব দাবির মধ্যে প্রথম দাবি ছিল- কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণ। প্রধানমন্ত্রী ৫টি দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কালুরঘাট সেতু এর মধ্যে অন্যতম ছিল। কিছুদিন আগে আমি রেলমন্ত্রী এবং মহাপরিচালকের সাথে দেখা করেছিলাম। তখন তিনি আমাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন- রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণের। দেরিতে হলেও সেতুর কাজ এগিয়েছে। আমি যদি বেঁচে থাকি বোয়ালখালীবাসীর জন্য এই ব্রিজ করার চেষ্টা করে যাব।