বঙ্গোপসাগরের বাঁশখালী-কুতুবদিয়া চ্যানেলের অদূরে কর্ডজাল ফিশিং ট্রলারের ধাক্কায় বাঁশখালীর ফিশিং বোট ডুবির ঘটনায় তিন দফায় ২৭ জন জেলে ফিরে এলেও এখনও অনেকে ফিরেনি।
ফলে ফিরে না আসা জেলেদের পরিবারে চলছে নানা অজানা শংকা ও শোকের মাতম।
অপরদিকে উপজেলা ও থানা প্রশাসন ‘নিখোঁজ জেলেদের সন্ধান চলছে’ এ তথ্য ছাড়া আর কোনো সুখবর দিতে না পারায় নিখোঁজ জেলে পরিবারগুলো হতাশ হয়ে পড়েছে।
ঘটনার ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন কর্ডজাল (ফিশিং)-এর ধাক্কায় বাঁশখালীর চাম্বলের মো. ছগীরের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া তলিয়ে গেছে তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
গত রবিবার সকালে বাঁশখালীর পশ্চিম চাম্বল বাংলা বাজার ঘাট থেকে মাঝিমাল্লা নিয়ে বঙ্গোপসাগরের বাঁশখালী-কুতুবদিয়া চ্যানেলের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায় চাম্বল এলাকার মো. ছগির প্রকাশ ছগীর মাঝির মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া নামে ফিশিং বোটটি।
এ সময় একটি কর্ড জালের ফিশিং ট্রলার থেকে ঐ ফিশিং বোটটিতে ধাক্কা দিলে সেটি তলিয়ে যায়।
এতে ফিশিং বোটে থাকা জেলেদের মধ্যে রবিবার রাতে ৩ জন, সোমবার রাতে ২২ জন, একইদিন গভীর রাতে আরো ২ জন জেলে ফিরে আসায় মোট ২৭ জন জেলে ফিরে আসে।
এদিকে ফিশিং বোটের মালিক মো. ছগির প্রকাশ ছগীর মাঝি সোমবার রাতে কূলে ফিরে এলে অসুস্থ অবস্থায় তিনি বাঁশখালীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান পশ্চিম চাম্বল বোট মালিক সমিতির সভাপতি হেফাজেতুল ইসলাম।
তিনি আরো জানান, এ ফিশিং বোটে থাকা জেলেদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। জেলেরা কেউ বলছে ৩৪ জন আবার কেউ বলছে ৩৬ জন তবে মালিক সুস্থ না হলে প্রকৃত সংখ্যাটি জানা যাচ্ছে না।
এ পর্যন্ত মোট ২৭ জন জেলে কূলে ফিরে এসেছে এটা নিশ্চিত বলে জানান তিনি।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, “তিন দফায় ২৭ জন জেলে কূলে ফিরে এসেছে। নিখোঁজ মাঝিমাল্লাদের উদ্ধার ও সন্ধানে ফিশিং বোট মালিকের পক্ষ থেকে ও বঙ্গোপসাগরে কোস্ট গার্ডের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।”