চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, চট্টগ্রাম প্রাকৃতিক নগরী। পাহাড়-নদী-সাগর এই নগরীর সৌন্দর্যের অলঙ্কার। নগরীর সবুজায়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন করতে চাই। কিন্তু এরই আড়ালে নগরীর সৌন্দর্যের অলঙ্কার লুটপাট হতে দিতে পারি না। গতকাল দুপুরে টাইগারপাসে নগরভবনের চসিক সম্মেলন কক্ষে সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রমের সাথে যুক্ত ঠিকাদারদের প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাতকালে তিনি একথা বলেন। সুজন বলেন, সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, যাত্রী ছাউনি স্থাপন, ফুটপাতে টাইলসসহ বাগান করা, রাস্তার মিড আইল্যান্ডে সৌন্দর্যবর্ধন এবং বিভিন্ন স্থানে নানান প্রজাতির ফুলের গাছ লাগানো। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, নগরীতে চুক্তি বহির্ভূত দোকান ও বিলবোর্ড স্থাপন করতে দেখা যাচ্ছে, যা কারো কাম্য নয়। সৌন্দর্যবর্ধনের আড়ালে সৌন্দর্যের অলংকার চুরি হলে চুক্তি বাতিল হবে। ঠিকাদারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জনগণ এবং পরিবেশের ক্ষতি হয়-এমন কোন কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না। দায়বদ্ধতা নিয়ে এ শহরের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। সৌন্দর্যবর্ধনের নামে কেউ অসুন্দরের চর্চা করবেন না। এ সময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের আল ইশরাক রফিক, প্রকৌশলী সৌরভ বড়ুয়া, মো. আলী তালুকদার, মো. সাজ্জাদ হোসেন, রূপন চৌধুরী, মো. ফয়সাল ইসলাম, আবদুল রকিব, মো. আনোয়ার হাসান, এ কে এম আশরেকুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।