বিএমএ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথি চেয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন, কোভিড রোগীর চিকিৎসায় আইসিইউ ব্যবহারের প্রাথমিক পর্যায়ে দপ্তারাদেশ পাওয়া ১২ বেসরকারি হাসপাতালসহ ১৫টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা। গতকাল (সোমবার) অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনের স্বাক্ষরে দুদকের বার্তাবাহক মারফত এসব চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে ‘ডা মোহাম্মদ ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক, বিএমএ চট্টগ্রাম এর বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ, বদলি, নিয়োগ বাণিজ্য, ক্লিনিক ব্যবসা, কমিশন ব্যবসাসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ’ অনুসন্ধানের বিষয় উল্লেখ করা হয়। এর আগে গত রোববার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ও আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককেও চিঠি দেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী দৈনিক আজাদীকে দুদকের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আজকে দুদক থেকে একটি চিঠি আমার অফিসে এসেছে। ২০০৮ সাল থেকে অদ্যবধি বিভিন্ন কেনাকাটার টেন্ডারের নথি ও সরকারি-বেসরকারি ক্লিনিকের বিষয়ে কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।’
সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চে দুদকের ঢাকা প্রধান কার্যালয় ও ৩০ জুন তারিখের চট্টগ্রাম অফিসে জমা হওয়া অভিযোগ যাচাই বাছাই শেষে ‘অভিযোগ নং-৬০/২০২০’ আকারে সেটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। গত ২৬ আগস্ট দুদকের দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেল বিভাগের পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্রে অভিযোগটি অনুসন্ধানের পদক্ষেপ নিতে মহাপরিচালক (তদন্ত-২) এর কাছে অভিযোগের নথিটি পাঠানো হয়। বর্তমানে অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘দুদকের চিঠিগুলোর কপি কাউকে দেয়া হয় না। প্রকাশেরও সুযোগ নেই। তবে একটি চিঠি সন্ধ্যার পর (সোমবার) আমার অফিসে এসেছে। এটা পড়ার সুযোগ হয়নি।’