স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা শাখার বরখাস্তকৃত হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবজাল হোসেনের বেতন ছিল মাসে ৩০ হাজার টাকা। সেই আবজালের ঢাকা শহরে নিজের ও স্ত্রীর নামে পাঁচটি বাড়ির পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতেও ছিল আরেক বাড়ি। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সম্পদের পরিমাণ হাজার কোটি টাকার ওপরে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়ি চালক আবদুল মালেকের দুইটি বাড়িসহ সম্পদের পরিমাণ শত কোটি টাকার ওপরে। স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে এই দুই কর্মচারীর সম্পদের হিসাবে। যার কারণে এবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের অর্ধশতাধিক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর ওপর নজর রাখছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যেই তাদের সম্পদের হিসাব চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি। দুদক ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের ৪৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাছে সম্পদের হিসাব চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। শুধুমাত্র কর্মকর্তা বা কর্মচারীর নয়, তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদের হিসাবও জানতে চেয়েছে দুদক। দুদক সূত্র জানায়, যারা নজরদারিতে রয়েছেন প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাদের প্রত্যেকেরই জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। নিজেদের নামের পাশাপাশি স্ত্রী, সন্তান, ভাই-বোনদের নামেও অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন তারা। খবর বাংলানিউজের।