কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনদ্বীপে পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধকরণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় ট্যুর অপারেটরদের সংগঠন টুয়াক বাংলাদেশ। গত শুক্রবার সকালে শহরের ঝাউতলাস্থ রেডিয়েন্ট ফিশ অডিয়ামে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবির পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণে প্লাস্টিক নিষিদ্ধকরণসহ ১২ দফা প্রস্তাবনাও পেশ করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করা হয়, সেন্টমার্টিনদ্বীপে পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধকরণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হলে স্থানীয় জনগণ ছাড়াও পুরো কক্সবাজারের পর্যটনশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেন্টমার্টিন ভ্রমণের সুযোগ মাত্র ১২৫০ জনে সীমাবদ্ধ করা হলে বিদেশি পর্যটকরাও বাংলাদেশ ভ্রমণে আসবে না। বর্তমানে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে ঘিরে দুই শতাধিক ট্যুর অপারেটর ও পাঁচ শতাধিক গাইডসহ লক্ষাধিক মানুষ পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভরশীল।
সাংবাদিক সম্মেলনে সেন্টমার্টিনদ্বীপ নিয়ে টুয়াকের ১২ টি প্রস্তাবনা পেশ করেন ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের সভাপতি তোফায়েল আহম্মেদ। তিনি ‘পর্যটন ও পরিবেশের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে রেসপন্সিবল ইকো ট্যুরিজম’ বাস্তবায়ন ও প্লাস্টিকমুক্ত কঙবাজার প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- টুয়াকের প্রধান উপদেষ্টা ও জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান মুফিজ, টুয়াকের সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ার কামাল, সহ-সভাপতি হোসাইন ইসলাম বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক আসাফ উদ দৌলা আশেক, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আজম, যুগ্ম সম্পাদক আল আমীন বিশ্বাস, এসএ কাজল প্রমূখ।