পটিয়ায় উপজেলা, পৌরসভা ও কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এ নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। ২০১৮ সালের ২৪ মে উপজেলা, পৌরসভা ও কলেজ ছাত্রলীগের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পর গত প্রায় তিন বছর ধরে নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়া থমকে দাঁড়ায়। বর্তমানে কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে নেতাকর্মীরা পছন্দের পদ পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে যায়, ২০১৪ সালে আমিনুল ইসলাম লিটনকে সভাপতি ও কোরবান আলীকে সেক্রেটারি করে পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেয় দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ। একইভাবে রুবেল দাশ বাবুকে সভাপতি ও আবু তৈয়ব সোহেলকে সাধারণ সম্পাদক করে পটিয়া পৌরসভা ছাত্রলীগের কমিটি এবং তারেকুর রহমান তারেককে সভাপতি ও সজিবুল ইসলাম জনিকে সাধারণ সম্পাদক করে পটিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।
অপরদিকে এ কমিটির বিপরীতে উপজেলা পৌরসভা ও কলেজ ছাত্রলীগের নতুন তিনটি কমিটি অনুমোদন দেন সামশুল হক চৌধুরী এমপি। এতে জেলা কমিটির অনুমোদিত পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি কোরবান আলী জেলা কমিটি থেকে পদত্যাগ করে। পরবর্তীতে সামশুল হক চৌধুরী এমপির অনুমোদিত পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি হন কোরবান আলী ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ সোহেল। একইভাবে পটিয়া পৌরসভায় শরাফত আলী শাহীনকে সভাপতি ও আবু সাঈদ তানবীরকে সেক্রেটারি। এরপর শরাফত আহমদ শাহীন চাকরিতে চলে গেলে তদস্থলে ইকবালুর রহমান ওপেল সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া পটিয়া সরকারি কলেজে নাজমুল সাকের সিদ্দিকীকে সভাপতি ও কামাল উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। পরবর্তীতে কামাল উদ্দিন চাকরিতে চলে গেলে সেক্রেটারির পদে আসীন হন নয়ন শর্মা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, নতুন কমিটির সম্ভাব্য প্রার্থীদের জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করে হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি খোঁজ খবর নিচ্ছেন। এ বিষয়ে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম এম বোরহান ও সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরকে একাধিকবার ফোন করা হলেও দুইজনই রিসিভ করেননি।