প্রাচ্যের সঙ্গে পাশ্চাত্যের সংযোগে আদর্শ স্থান হতে পারে বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী

| শুক্রবার , ২ অক্টোবর, ২০২০ at ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ

ভৌগলিক অবস্থানের সুবিধা কাজে লাগানো গেলে প্রাচ্যের সঙ্গে পাশ্চাত্যের সংযোগ স্থাপনে বাংলাদেশ একটি আদর্শ স্থান হতে পারে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাচ্যের সাথে পাশ্চাত্যের যে সংযোগটা, বাংলাদেশ তার জন্য সব থেকে আদর্শ একটা জায়গা হতে পারে, যদি আমরা সেইভাবে উন্নত করতে পারি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে ‘প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন জানিয়ে তার মেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ইউরোপে সুইজারল্যান্ডের যে অবস্থান, ইউরোপের একদিক থেকে আরেকদিকে যেতে হলে সুইজারল্যান্ডের ভেতর দিয়েই যেতে হয়। আমাদের বাংলাদেশের অবস্থানটা আমরা ইন্টারন্যাশনাল এয়াররুটের ভেতরে আছি। সেখানে আমাদের সামনে অনেক সম্ভাবনা আছে। সেই সম্ভাবনাটাকে যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি, তাহলে আমাদের একদিকে পর্যটন শিল্প, অপরদিকে আমাদের এয়ারলাইন্স আমাদের অনেক টাকা উপার্জন করে দিতে পারে। খবর বিডিনিউজের।

ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে পানি ভবন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘ম্যুরাল’ এবং বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের নবনির্মিত প্রধান কার্যালয় ‘পর্যটন ভবন’ এবং সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সমপ্রসারণ (প্রথম পর্যায়) প্রকল্পের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিমানের সেবার মানের উন্নয়ন, নতুন বিমান কেনা, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরি এবং বিমানবন্দরগুলোর আধুনিকায়নে নেওয়া সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমানের জেট ফুয়েল যাতে লাইপলাইনের মাধ্যমে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যায়, সে ব্যবস্থা সরকার করে দিচ্ছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিমান যেন যেতে পারে, সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজও শুরু হয়েছে। আজকে দেখলাম যে আমেরিকার সাথে একটা চুক্তি হয়েছে, যেখানে আমাদের বিমান যেতে পারবে। আমরা যখন বোয়িং বিমানগুলো কিনি তখন থেকে এটা একটা প্রচেষ্টা ছিল, যে আমরা যেন আমেরিকায় আমাদের বিমান নিতে পারি বা আমরা একটা যোগাযোগ করতে পারি। সেখানে আমাদের অনেক বাঙালি বসবাস করেন। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে পর্যটনের ‘বিশাল সম্ভাবনার’ কথা তুলে ধরে এর উন্নয়নে সরকারের নেওয়া পরিকল্পনার কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহাসড়কই যেন বাসস্ট্যান্ড সার্ভিসিং সেন্টার
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬