বিপ্লব উদ্যানে বন্ধ থাকা দোকান খুলে দিতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের হস্তক্ষেপ চেয়েছে বিপ্লব উদ্যান দোকান মালিক সমিতি। দোকান বন্ধ থাকায় মালিক–কর্মচারীরা চরম বিপাকে রয়েছেন জানিয়ে সংগঠনটি গতকাল প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করে।
আবেদনপত্রে তারা জানায়, চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে সিটি কর্পোরেশনের লিজ দেওয়া কোম্পানি স্টাইল লিভিং আর্কিটেক লিমিটেড ও রি–ফর্ম লিমিটেড থেকে সাব লিজ নিয়ে দোকান শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু দোকান চালু করার ১ মাসের মাথায় মার্চের ১৮ তারিখ থেকে করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারি নির্দেশনা মেনে দোকান বন্ধ করে দেন তারা। পরবর্তীতে সরকারি নির্দেশনায় ৬ জুন থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দোকান চালু করেন। কিন্তু এর মধ্যে স্টাইল লিভিং আর্কিটেক লিমিটেড ও রি–ফর্ম লিমিটেড থেকে দোকানদারদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়, চসিক প্রশাসকের নির্দেশে ২১, ২২ ও ২৩ আগস্ট দোকান বন্ধ রাখতে হবে। এরপর গত ২৫ আগস্ট পরিদর্শনে এসে চুক্তির সাথে লিজ নেওয়া কোম্পানির (স্টাইল লিভিং আর্কিটেক লিমিটেড ও রি–ফর্ম লিমিটেড) কাজের ত্রুটি বিচ্যুতি ও অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হলে তা দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেন চসিক প্রশাসক এবং সমাধানের আগ পর্যন্ত পার্ক কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলেন। নির্দেশনা মেনে দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, দোকান বন্ধ রাখার কারণে কর্মচারীদের বেতন–ভাতা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে কর্মচারীসহ দোকানদাররা পরিবার পরিজন নিয়ে চরম আর্থকষ্টে আছেন।
সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর চসিকের সাথে স্টাইল লিভিং আর্কিটেক্টস লিমিটেড ও রি–ফর্ম এর সাথে বিপ্লব উদ্যানের সৌন্দর্যবর্ধনে ২০ বছরের জন্য চুক্তি হয়। গত ২৫ আগস্ট পরিদর্শনে যান চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। তখন তিনি সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়ায় চুক্তি বহির্ভূত স্থাপনা অপসারণ না করা পর্যন্ত ইজারাদার প্রতিষ্ঠানকে সেখানে নির্মিত দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। অন্যথায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সিলগালা করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন। সর্বশেষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ করা এক সারি বসার স্থান (দোকানের সামনে) ভেঙে দিয়েছেন চসিক পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে চুক্তি বহির্ভূত যেসব দোকান নির্মাণ করা হয়েছে তা নিজে উদ্যোগে ভেঙে ফেলার জন্য সাতদিন সময় দেন আদালত।