নাগোরনো–কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া–আজারবাইজানের যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে আর্মেনিয়া তাদের একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার অভিযোগ করেছে তুরস্কের বিরুদ্ধে। তবে কী আর্মেনিয়া–আজারবাইজান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে তুরস্ক?
মঙ্গলবার আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, আর্মেনিয়ার আকাশ সীমার মধ্যে তুরস্কের একটি এফ–১৬ যুদ্ধবিমান আর্মেনিয়ার একটি এসইউ–২৫ যুদ্ধবিমানকে ভূপাতিত করেছে, পাইলটও মারা গেছেন। বিবিসি জানায়, তুরস্ক প্রকাশ্যেই এ যুদ্ধে আজারবাইজানকে সমর্থন জানিয়েছে। তবে তারা আর্মেনিয়ার যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। খবর বিডিনিউজের।
তুরস্কের যোগাযোগ পরিচালক ফারেত্তিন আলতুন বলেছেন, সস্তা প্রচার কৌশলের আশ্রয় না নিয়ে আর্মেনিয়ার উচিত দখল করে রাখা অঞ্চল থেকে সরে যাওয়া।
আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও তুরস্কের আর্মেনীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার কথা অস্বীকার করেছে। তুরস্ক আজারবাইজানের ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ।
নাগোরনো–কারাবাখ আজারবাইজারের ভিতরে হলেও আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠীর লোকজন অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। আর্মেনিয়া তাদের সমর্থন দিচ্ছে। ১৯৮৮–৯৪ সাল পর্যন্ত যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অঞ্চলটি আজারবাইজান থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও স্বাধীন দেশ হিসেবে এখনও কারও স্বীকৃতি পায়নি।
আর্মেনিয়া–আজারবাইজান তুমুল সংঘর্ষ : পাহাড়ী ওই অঞ্চলটি নিয়ে ২০১৬ সালের পর আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সমপ্রতি সবচেয়ে তীব্র লড়াই চলছে। এতে দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশ্ব বাজারে তেল ও গ্যাস সরবরাহকারী পাইপলাইন ওই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। তিন দিন আগে শুরু হওয়া যুদ্ধে এরই মধ্যে প্রায় ১শ মানুষের প্রাণ গেছে; যাদের মধ্যে বেসামরিক লোকজনও রয়েছে।
তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে উভয়পক্ষ সীমান্তে ভারী কামানও মোতায়েন করেছে। লড়াই শুরুর জন্য দুই পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করছে। অন্যান্য দেশও সরাসরি আর্মেনিয়া–আজারবাইজান সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে উদ্বেগ বাড়ছে।