প্রথমেই জানাই আজাদীর ৬১ তম জন্মদিন উপলক্ষে অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা। আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ আজাদীর প্রতি, মাঝে মাঝে আমারলেখা স্থান পাওয়ার জন্য। গত ১৭সেপ্টেম্বর আজাদীর প্রথম পৃষ্ঠার একটিলেখা পড়ে জানতে পারলাম, মহামারী করোনায় আজ পর্যন্তকোনো হকার করোনা পজিটিভ হয়নি। কিন্তু করোনা শুধুমাত্র পত্রিকা হকার নয়, আমাদেরদেশে যারা দিনে আনে দিনে খায় এমনখেটে খাওয়া মানুষের উপর করোনার অশেষ করুণা। আবার মহান সৃষ্টিকর্তা সবার উপর বিরাজমান আছেন বিধায়, তিনি দেখছেন এসব মানুষের চিকিৎসা করার মতোকোনো সামর্থনেই। সমাজে অনেকেই আছেন নিম্ন কাজের মানুষের প্রতি নির্দয় আচরণ করেন এবং তাদের কাজকেছোট করেদেখেন। একজন হকারকে চিৎকার করে ডাকেন, এইপেপারওয়ালা, একটাপেপারদেতো। একজন রিকশাচালক যত বৃদ্ধহোক নাকেন, তাদের সাথে তুইতোকারি ব্যবহার করেন। অনেক শিক্ষিত ভদ্রলোক ওদেখেছি বলতে, এই রিকশা অমুক জায়গায় যাবি? সমাজে কর্মের সাথে বিভেদ তুলনা করে তাদের সাথে এমন ব্যবহার করেবেশির ভাগ মানুষেরা। আজ মহামারী করোনা বুঝিয়ে দিলকোনোপেশাকেছোট করেদেখা উচিত নয়।বেঁচে থাকার তাগিদে মানুষযোগ্যতা অনুযায়ীকেউ নিম্ন এবংকেউ উচ্চ পদ মর্যাদারপেশায় কাজ করেন। আমরামৌলিক চাহিদা পূরণেরক্ষেত্রে প্রতিটিপেশার মানুষের উপর নির্ভরশীল। একে অপরের পরিপূরক। মানুষ এখনো করোনার এমনটা ভয়াবহতায়ও শিক্ষা নিতে পারছে না। আমি কিছু দিন আগে আমার সিইউতে অধ্যয়নরত ছোট ছেলেকে নিয়ে চকবাজার যাচ্ছি।সে একজন রিকশা চালককে ডেকে জিজ্ঞেস করলো, মামা চকবাজার যাবেন? যাবে বলতেই উঠেগেলাম। আমি তার এমন ব্যবহারে মনে মনে ভাবছি, আমিতো তাকে এটা শেখাইনি। এসবখেটে খাওয়া মানুষ অনেকেই সচেতনতার অনেক নিয়ম জানে না, আবার জানলেও ঠিক ভাবে পালন করতে পারছেন না। এদের উপর সৃষ্টিকর্তার অশেষ দয়া আছে বিধায় বস্তিতে গাদাগাদি, রাস্তায়, ফুটপাতে,স্টেশনে কষ্টে পড়ে থাকাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের তেমন কেউ আক্রান্ত হয়নি। তাই আমরা একবার নিজেদেরকে তাদের মতো মানুষ ভাবি। একটু অশুভ শক্তির প্রভাবে কিন্তুযেকেউ নিজের বিশাল সম্পদও হারাতে পারে। মানুষকে ভালোবাসুন, ভালো ব্যবহার করুন।