পর্যটন মানুষের মধ্যে বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি করতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বছরে গড়ে ৫০ হাজারের ও অধিক পর্যটক বাংলাদেশে আসেন। প্রতি বছর দেশে পর্যটন থেকে আয় হয় বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। বিশ্বে এমন কিছু দেশ রয়েছে যারা পর্যটন শিল্পের আয়ের উপর নির্ভরশীল। সে সব দেশের প্রধান আয়ের উৎস হচ্ছে পর্যটন। সে সব দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে প্রতিনিয়ত ঢেলে সাজানো হচ্ছে, যাতে আরো বেশি সংখ্যক পর্যটকদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। কেন না যত বেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হবে তত বেশি আয় হবে। অথচ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর পর্যটন ব্যবস্থার কাছাকাছিও আমাদের দেশের পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। যদিও বাংলাদেশে অসংখ্য পর্যটন এলাকা রয়েছে। যার সৌন্দর্য বিশ্বের যে কোন দেশের তুলনায় অনেক বেশি। শুধু ঢেলে সাজানোর অভাব বা উন্নয়ন না হবার কারণেই বেশি সংখ্যক পর্যটকদের দৃষ্টি আর্কষণ করা যাচ্ছে না। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের বাংলাদেশে রয়েছে পর্যটন শিল্প বিকাশের অপার সম্ভাবনা। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পর্যটন স্পটগুলো চিহ্নিতকরণ এবং পর্যটন স্পটগুলোর আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ করা হলে বিদেশি পর্যটকদের পাশাপাশি দেশীয় পর্যটকের সংখ্যা ও বাড়বে।
এর ফলে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং পর্যটন খাত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটি অন্যতম বড় খাতে পরিণত হবে।
এম. এ. গফুর, বলুয়ার দীঘির দক্ষিণ–পশ্চিম পাড়, কোরবানীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।