চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করা ফেব্রিক্সভর্তি একটি কন্টেনার জালিয়াতির মাধ্যমে খালাসের চেষ্টকালে জব্দ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার বন্দরের নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনাল (এনসিটি) ইয়ার্ড থেকে এসব ফেবিক্স জব্দ করা হয়। একই সাথে জালিয়াতির সাথে জড়িত থাকার দায়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মো. গোলাম ফারুক খান নামের এক জেটি সরকারকে আটক করা হয়। গতকাল দৈনিক আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার জিম অ্যান্ড জেসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান ফেব্রিক্সগুলো আমদানি করে। পণ্য খালাস নেওয়ার জন্য দ্রুত ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামে নগরীর একটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান শুল্কায়ন সম্পন্ন করে। তারা পণ্য খালাসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও জমা দেয় সংশ্লিষ্ট শাখায়। কিন্তু শুক্রবার বিকেলে খান এন্টারপ্রাইজ নামে অপর একটি প্রতিষ্ঠান কন্টেনারটি ডেলিভারি নেওয়ার জন্য নথি জমা দেয়। কিন্তু নথি দেখে বন্দরের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে তারা সেটি আটকে দেয়। বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, পণ্য খালাসে শুল্কায়নের প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিয়েছে দ্রুত ইন্টারন্যাশনাল। কিন্তু খান এন্টারপ্রাইজ কনটেইনারটি ডেলিভারি নিয়ে যাবার চেষ্টা করে। তখন বন্দরের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা সেটি চ্যালেঞ্জ করে আটকে দেয়। তবে আমাদের ধারণা, এখানে বড় ধরনের জালিয়াতির চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়া বন্দরের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হচ্ছে। তারা আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানগুলোকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।