সৌদি আরবের ভিন্নমতাবলম্বীদের একটি দল দেশটিতে বিরোধী দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। দলটির সদস্যরা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে নির্বাসনে রয়েছেন। সৌদি আরবের রাজা সালমান বিন আবদুল আজিজের শাসনামলে এটিই প্রথম সংগঠিত রাজনৈতিক প্রতিরোধ। বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, রাষ্ট্র হিসেবে সৌদি আরব পুরোপুরি রাজতান্ত্রিক। সেখানে কোনো ধরনের রাজনৈতিক বিরোধিতার সুযোগ নেই। ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর দমনপীড়ন বাড়তে থাকার মধ্যে ২৩ সেপ্টেম্বর রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি পার্টি’ নামে ওই বিরোধী দল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হলো। খবর বাংলানিউজের।
এর আগে ২০০৭ ও ২০১১ সালে সংগঠিত রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা করায় সংশ্লিষ্ট দলের সদস্যদের গ্রেফতার এবং দমনপীড়নের শিকার হতে হয়েছিল। এবার যারা দল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন, বুধবার তারা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য সৌদি আরবে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা’। দলটির ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, দলের নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছেন লন্ডনভিত্তিক বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ইয়াহিয়া আসিরি। সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষাবিদ মাদায়ি আল-রশিদ, গবেষক সাঈদ বিন নাসের আল-গামদি, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আবদুল্লাহ আলাউদ এবং কানাডাভিত্তিক ওমর আবদুল আজিজ। রয়্যাল সৌদি এয়ার ফোর্সের সাবেক কর্মকর্তা এবং নতুন দলটির মহাসচিব আসিরি বলেন, ‘চরম সংকটময় একটি মুহূর্তে দেশ রক্ষার তাগিদ থেকে আমরা এ দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ প্রতিষ্ঠা করা এবং শাসনকাজে জনগণের আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটানো’।