সুলতান নছরত শাহ স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক গ্রাম ফতেয়াবাদ”। সুলতানি আমলে হাটহাজারী উপজেলার “ফতেয়াবাদ” সমগ্র চট্টগ্রামের রাজধানী ছিল। ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতিতে এই গ্রামের মানুষের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।এই গ্রামের কেন্দ্রস্থলে ১২ নং চিকনদন্ডী ইউনিয়নের সাথে লাগোয়া পূর্বদিকে ১০ নং উত্তর মাদার্শা ইউনিয়ন,পশ্চিম দিকে ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী(সিটি কর্পোরেশন আওতাভুক্ত)ও উত্তরদিকে ফতেপুর ইউনিয়ন এবং আশপাশের এলাকায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষের বসবাস।এখানে একাধিক স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসা শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে। সরকার গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি চালু করায় শিক্ষার হার বাড়ছে এবং ঝরে পড়া প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে।প্রতিবছর এতদা অঞ্চল থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থীএসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে,এখানে কোনো কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। ফলে প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী শিক্ষিত হয়েও অনেকে বেকার হয়ে পরিবার ও সমাজের জন্য বোঝা হয়ে যাচ্ছে। অথচ তারা কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুযোগ ফেলে হাতে কলমে শেখার মাধ্যমে আত্মনির্ভশীল হয়ে পরিবার ও রাষ্ট্রের জন্য অবদান রাখতে পারতো। আবার বিদেশে গেলেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারত। উল্লেখ্য যে উত্তর মাদার্শা তথা গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে চট্টগ্রাম শহরে গিয়ে কারিগরি শিক্ষা অর্জন করা তাদের পক্ষে অনেক ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ।
ইতিমধ্যে সরকার আগামী ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র গঠনের যে স্বপ্ন দেখছেন সে স্বপ্ন পূরণেও কারিগরি শিক্ষা ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। অতএব,সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন, ঐতিহাসিক ফতেয়াবাদ গ্রামে শিঘ্রই কারিগরি কলেজ প্রতিষ্ঠার সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ফতেয়াবাদ, হাটহাজারী