কক্সবাজারের চকরিয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালত বিচারক শূন্য অবস্থায় দীর্ঘ এক বছর ২২ দিন অতিবাহিত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আদালতে বিচারক না থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে বিচারপ্রার্থীদের। ঝুলে আছে ৪৪৫১টি দেওয়ানী মামলার কার্যক্রম। এঅবস্থায় আদালতে নতুন করে একজন সহকারী জজ নিয়োগ দেয়া হলে ঝুলে থাকা মামলার নিষ্পত্তি এবং জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ কমে আসবে। এতে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার সাত লাখ মানুষের দুর্ভোগ কমবে বলে মনে করেন আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিচারাধীন মামলায় তাৎক্ষণিক কোন আদেশ প্রচার (নিষেধাজ্ঞা,স্থিতাবস্থা) করতে না পারায় অপতৎপরতা বেড়েছে ভূমিদস্যুদের। এমনকি পারিবারিক মামলায় চুড়ান্ত রায় হওয়ার পর মোহরানার টাকা জমা করা সত্ত্বেও আদালতে সহকারী জজ না থাকায় সেই টাকা উত্তোলনেও প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। কিছু মামলার পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করতে না পারায় অভিযুক্ত ব্যক্তি টাকা জমা না করে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ২৭ আগস্ট আইন মন্ত্রণালয়ে বদলি হন চকরিয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দিন। কিন্তু তিনি বদলি হওয়ার পর থেকে সেই পদে কোন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়নি। এতে উক্ত আদালতে মামলা নিষ্পত্তির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।
পেকুয়ার মেহেরনামার বাসিন্দা আহমদ হোসেন বলেন, ২০১২ সালে জমি সংক্রান্ত একটি মামলা দায়েরের পর অনেকটা শেষপর্যায়ে চলে আসে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বিচারক না থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছি। কখন বিচারক আসবেন এবং মামলা নিষ্পত্তি হবে।
চকরিয়া আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, বিচারকের পদ শূন্য থাকায় মামলার বাদী-বিবাদীরা বিপাকে আছেন। তাই এই আদালতে একজন সহকারী জজ পদায়ন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এব্যাপারে চকরিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও এপিপি অ্যাডভোকেট এএইচএম শহীদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা জেলা জজের সাথে দেখা করে শূন্য পদে বিচারক পদায়নের জন্য অনুরোধ করেছি। লিখিত আবেদনও করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিচারক পদায়ন না হওয়ায় দেওয়ানী মামলার বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি বাড়ছে।