আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে আমাদের দেশে এখনও নারী শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে ভাবতে হয়। নারী যে শুধু ঘরের কাজ করার জন্য জন্মায় নাই, তাদেরও পুরুষের মতো সকল কাজে কাঁধে কাঁধ মেলানোর মতো দক্ষতা আছে এতে যে সমাজের কোন ক্ষতি নেই সেগুলো তুলে ধরতে হয়। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে নারীরাও পুরুষের সমানতালে সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করছে। আর এই জন্য তারা জাতি হিসেবে উন্নতি লাভ করছে। পুরুষ একা শিক্ষিত হলেই সমাজ ব্যবস্থা উন্নত হবে না। নারী, পুরুষের সম্মিলিত শিক্ষা ব্যবস্থাই পারে দেশ ও জাতিকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাতে। এসব কথা নতুন না। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সেই কবেই নারী শিক্ষার গুরুত্ব বুঝিয়েছিলেন। আফসোস আমরা এখনও অন্ধকারে বাস করি। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা নারী শিক্ষার পথে অসংখ্য বাধার সৃষ্টি করেছে যুগে যুগে এবং নারীকে নানা আঙ্গিকে মানসিক পঙ্গু করার নানান কায়দা বানিয়েছে এছাড়া সামাজিক কুসংস্কার দ্বারা এখনও নারীকে পদদলিত করে রাখতে চায়।পুরুষদের এই মনোভাব থেকে বের হয়ে আসতে হবে তা না হলে নারী চিরকাল আঁধারেই রয়ে যাবে। নারী হিসেবে প্রত্যাশা করি যে, শিক্ষার কোন বিকল্প নাই-এই কথাটা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই বুঝবে এবং অনুধাবন করতে পারবে সমগ্র মানব জাতির উন্নয়নের জন্য নারী শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।