নাম তার মিত্র, অর্থাৎ বন্ধু। বন্ধুর মতোই হাসপাতালের করোনা রোগীদের সার্বক্ষণিক সহায়তায় নিবেদিত আছে সে। নতুন দিল্লির পাশের ‘যথার্থ সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল’ কর্তৃপক্ষ করোনা রোগীদের সহায়তার জন্য নিয়োজিত করেছে রোবট মিত্রকে। তার কাজের তালিকাও বেশ লম্বা। কোনো মুমূর্ষু রোগী যখন প্রিয়জনকে দেখতে চান, সে ইচ্ছা পূরণ করতে হাজির হয়ে যায় মিত্র। কিংবা হাসপাতালের ডাক্তার-নাসরা যখন রোগীকে দেখতে চান, তখনও ভরসা মিত্র। খবর ডয়েচে ভেলের।
করোনা রোগীদের সেরে উঠতে অনেক সময় লাগে। এ সময়টিতে রোগীরা নিজের পরিবার-পরিজনকে দেখার সুযোগ পান না। সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে রবোট মিত্র এ শুণ্যতাটিই পূরণ করছে, বলেন হাসপাতালটির ডাক্তার অরুন লাখানপাল। মিত্রর চোখে রয়েছে চেহারা চিহ্নিত করার বিশেষ প্রযুক্তি। ইনভেন্টো রবোটিকস নামে বেঙ্গালুরুর ছোট একটি কোম্পানি তৈরি করেছে এই রোবটট। ২০১৭ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথেও আলাপ হয়েছিল তার। সেই থেকে অনেকের কাছেই সে ‘মিত্র’ নামে পরিচিত। মিত্রর চোখে রয়েছে চেহারা চিহ্নিত করার বিশেষ প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে সে রোগী, ডাক্তার কিংবা নার্সদের আলাদা করতে পারে। তার বুকে স্থাপন করা আছে একটি ইলেকট্রনিক ট্যাবলেট। এর মাধ্যমে সে রোগীদেরকে তাদের প্রিয়জন, ডাক্তার কিংবা নার্সের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। যখন কোনো রোগী প্রিয়জনকে দেখতে চান, মিত্র তখন সেই ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে আর সাথে সাথে ঐ ব্যক্তির ছবি ভেসে ওঠে ট্যাবলেটের স্ক্রিনে।