হজের জন্য প্রাক ও প্রাথমিক নিবন্ধন শুরুর প্রায় দুই মাসেও ১২৪টি এজেন্সির নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী না থাকায় সেগুলোর বিষয়ে সতর্ক করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এজেন্সিগুলোকে দ্রুত প্রাক/প্রাথমিক নিবন্ধনের নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রণালয় বলছে, যৌক্তিক কারণ ছাড়া কোনো এজেন্সি নিবন্ধন না করলে সেটির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খবর বিডিনিউজের।
২০২৫ সালে হজের জন্য প্রাক ও প্রাথমিক নিবন্ধন শুরু হয়েছে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে। ঘোষিত সময়ানুযায়ী নিবন্ধন করা যাবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। সে হিসাবে প্রায় দুই মাসে তালিকাভুক্ত ৮৯১টি এজেন্সির মধ্যে এখনও কোনো হজযাত্রীর প্রাক/প্রাথমিক নিবন্ধন করেনি ১২৪টি এজেন্সি।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ–১ শাখার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘২০২৫ সালের হজের জন্য মোট ৮৯১টি হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। শর্ত অনুযায়ী কোনো এজেন্সি যৌক্তিক কারণ ছাড়া হজযাত্রী নিবন্ধন না করলে সেই এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক নিবন্ধন শুরু হলেও অনুমোদিত তালিকার ১২৪টি এজেন্সির কোনো প্রাক–নিবন্ধিত বা প্রাথমিক নিবন্ধিত হজযাত্রী নেই। এ অবস্থায় এজেন্সিগুলোকে দ্রুত হজযাত্রী প্রাক–নিবন্ধন বা প্রাথমিক নিবন্ধন করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।’
হজ অধিশখার উপসচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যে এজেন্সিগুলোর কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো এখন পর্যন্ত কোনো হজযাত্রী নিবন্ধন করাতে পারেনি। এখনও এক মাস সময় আছে। আমরা তাদের রিমাইন্ডার দিলাম। যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেও তারা হজযাত্রী নিবন্ধন না করাতে পারে, তখন আইন অনুযায়ী প্রত্যেকটি এজেন্সির বিরুদ্ধে ইন্ডিভিজুয়ালি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ পোর্টালের তথ্যানুযায়ী, শনিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত সরকারি মাধ্যমে ২ হাজার ৪৮ জন এবং বেসরকারি মাধ্যমে ৬২ হাজার ৬৬৩ জন প্রাক নিবন্ধন করেছেন। অপরদিকে সরকারি মাধ্যমে ২ হাজার ৫২৫ জন এবং বেসরকারি মাধ্যমে ৫ হাজার ৭৭৯ জন হজে যাওয়ার জন্য প্রাথমিক নিবন্ধন করেছেন। বর্তমানে হজে যেতে হলে প্রথম ধাপে ৩০ হাজার টাকা ফি পরিশোধ করে প্রাক নিবন্ধন করতে হয়। এরপর নির্দিষ্ট সময়ে ৩ লাখ টাকা দিয়ে সারতে হয় প্রাথমিক নিবন্ধন। হজের প্যাকেজ ঘোষণা হলে বাকি টাকা পরিশোধ করে নিবন্ধন সম্পন্ন করা যায়।
২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে হজের জন্য ২০২৪ সালের মতই ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা রেখেছে সৌদি আরব। এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট হজযাত্রী ছিল ৮৫ হাজার ২৫৭ জন, যা অনুমোদিত সংখ্যার চেয়ে ৩৫ শতাংশ কম।