চকরিয়া উপজেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বিচারক) মো. জাহিদ হোসাইন বলেছেন, সমাজে এমন কিছু বিষয় আছে যেসব বিষয় স্থানীয়ভাবে সমাধান করা যায়। অন্যথায় উভয়পক্ষ মামলায় জড়িয়ে দিনের পর দিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সরকার ২০০০ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন–২০০০ প্রণয়ন এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে। তিনি বলেন, আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়–সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ–সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারিভাবে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয় এই আইন এবং গঠিত সংস্থার মাধ্যমে। তাই সমাজের হতদরিদ্র, পিছিয়ে পড়া মানুষকে একেবারে বিনা খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান করার সুযোগ রয়েছে এই আইনের মাধ্যমে। তবে এক্ষেত্রে আপসযোগ্য মামলা বা অভিযোগকেই আমলে নেবে লিগ্যাল এইড কমিটি। এই বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার করা হলে সাধারণ মানুষ বেশ উপকৃত হবে। তাই এই বিষয়টি প্রতিটি মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। যাতে তারা জানতে পারে যে, বিনা খরচেও আইনগত সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকার এই আইন পাস করাসহ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে।
‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ, বিনামূল্যে আইনি সেবার দ্বার উন্মোচন’ এই প্রতিপাদ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস–২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে কক্সবাজারের চকরিয়ায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
লিগ্যাল এইড কমিটি চকরিয়ার চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারি জজ জিয়া উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিনের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আদালতের এপিপি ও এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট এইচ এম শহীদুল্লাহ চৌধুরী, এজিপি অ্যাডভোকেট শ্রীধর দত্ত বাদল, চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী, পেকুয়া থানার ওসি মো. ওমর হায়দার। এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছোটন কান্তি নাথ, আদালতের পেশকার লুৎফুর রহমান, চৌকি লিগ্যাল এইড সহকারি ও স্টেনোগ্রাফার ফেরদৌস ওয়াহিদ প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে চকরিয়ার সিনিয়র সহকারী জজ জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, যদি ফৌজদারি বড় কোনো অপরাধ হয়ে থাকে, তাহলে তা আইনানুযায়ী যথানিয়মে চলবে। দেওয়ানি আইনের মামলাতেও আইনগত সহায়তা প্রদান আইন–২০০০ এর মাধ্যমে একই ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। এর আগে সকাল দশটার দিকে দিবস উপলক্ষে উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত চত্বর থেকে বের করা হয় র্যালি। এটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মিলিত হয় উপজেলা পরিষদের হলরুম মোহনায় আয়োজিত আলোচনা সভায়।