কানাডার মাটিতে খালিস্তানপন্থি এক শিখ নেতার হত্যাকাণ্ড ঘিরে ভারতের সঙ্গে কানাডার সম্পর্কে যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে তার জেরে সম্প্রতি দিল্লি থেকে দেশে ফিরে গেছেন ৪১ কানাডীয় কূটনীতিক ও তাদের পরিবার।
দুই সপ্তাহ আগে ভারত কানাডাকে দিল্লি থেকে তাদের কূটনীতিকদের সরিয়ে নিতে বলে। নতুবা বেঁধে দেওয়া সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর কানাডীয় কূটনীতিকদের আর নিরাপত্তা দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেয়। যে হুমকিকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’ বলে বর্ণনা করেছেন কানাডার কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন কানাডার মাটিতে হত্যা করা হয় দেশটির ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিক শিখ নেতা হারদীপ সিং নিজ্জারকে। যে হত্যাকাণ্ডের পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর হাত আছে বলে অভিযোগ তোলেন খোদ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন টুড্রো যদিও ভারত ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানায়, বৃহস্পতিবার কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জলি বেশ কয়েকজন কানাডীয় কূটনীতিক এবং তাদের পরিবারের ভারত ছাড়ার খবর নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “ভারত ‘২১ জন কূটনীতিক ছাড়া বাকি সবার কূটনৈতিক নিরাপত্তা ২০ অক্টোবরের পর একতরফাভাবে তুলে নেবে’ বলে জানিয়েছে। ২১ জন কূটনীতিক এখনো ভারতে অবস্থান করছেন কিন্তু বাকি কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার কারণে ভারতে কানাডার দূতাবাস সংক্রান্ত কার্যক্রম কর্মী সংকটে সীমিত করতে হবে। বিশেষ করে ভারতের ব্যাঙ্গালুরু, মুম্বাই, চন্ডিগড়ে দূতাবাসের ‘ইন-পারসন’ কার্যক্রম স্থগিত করতে হবে।”
কবে নাগাদ আবার সব কিছু স্বাভাবিক হবে সেই বিষয়ে এখনই কিছু জানাতে পারেননি কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তবে দূতাবাস সংক্রান্ত পরিষেবাগুলি এখনও দিল্লিতে কানাডার হাই কমিশনে পাওয়া যাবে এবং ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলো যা আগে থেকেই তৃতীয় পক্ষ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল সেগুলোও খোলা থাকবে।
ভারতে কানাডার দূতাবাস পরিষেবা সীমিত হয়ে যাওয়ায় মূল সংকটে পড়বে দেশটির শিক্ষার্থীরা যারা কানাডায় লেখাপড়া করতে যেতে ইচ্ছুক।
২০২২ সালে কানাডায় সময়িক ও স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদনকারীদের মধ্যে ভারতীয়রাই ছিল সর্বোচ্চ।