সারাবিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৬ লাখ মহিলা জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। তার মধ্যে প্রায় ৩ লাখ ৪২ হাজার নারীর মৃত্যু হয় এ রোগে। বর্তমানে জরায়ুমুখ ক্যান্সার বাংলাদেশের নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর প্রধান কারণ। তাই এ রোগ থেকে মুক্ত থাকতে হলে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। গতকাল বুধবার নগরীর একটি হোটেলে জরায়ুমুখ ক্যান্সার নিয়ে অবস্ট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকলজিক্যাল সোসাইটি অফ বাংলাদেশ (ওজিএসবি)-এর উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ওজিএসবি চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুন্নেসা রুনার সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) গাইনী বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান এবং ওজিএসবি-এর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. সাহানারা চৌধুরী, চমেক অধ্যক্ষ ও গাইনী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সাহেনা আকতার এবং ওজিএসবি চট্টগ্রাম-এর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রওশন আখতার ও অধ্যাপক ডা. শামীমা সিদ্দিকা রোজী। সেমিনারে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ ও চিকিৎসা বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. সাবরিনা মেহের ও ডা. সাহানা রহমান।
জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে কিশোরী (১৩ থেকে ১৪ বছর) বয়সে এর টিকা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে সেমিনারে বক্তারা বলেন, দেশে প্রতিদিনই জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে চিহ্নিত হলে এ রোগ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। তাছাড়া শুধু রোগ হলেই চিকিৎসা নেওয়ার চিন্তা না করে এ রোগ থেকে বাঁচতে আগে থেকে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ডা. ফারাহ নাজ মাবুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে চট্টগ্রামের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।












