কক্সবাজারের মহেশখালীতে আলোচিত মনির আহমদ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দীর্ঘ ৯ মাস পর এ মামলার দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজার পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পিবিআই কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিয়ার রহমান।
তিনি জানান, ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর ভোর রাতে মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের ষাইটমারা পাট্টাছড়ি ঘোনা এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয় মাছ ব্যবসায়ী মনির আহমদকে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মহেশখালী থানায় ১৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। প্রথমে থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে ৩৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে এবং ৬ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ১০ জন জামিনে মুক্তি পান, একজন কারাগারে রয়েছেন এবং তিন জন এখনও পলাতক।
মোহাম্মদ মতিয়ার রহমান আরও জানান, হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে চলতি বছরের ১ আগস্ট মামলার তদন্তভার তাদের দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় তদন্ত। গত ১৬ সেপ্টেম্বর আদালতের আদেশে এজাহারনামীয় আসামি জয়নাল আবেদীনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জবানবন্দিতে আসামি জয়নাল হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, জমি ও মাছের ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে তিনি এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেছিলেন। এরপর জয়নালের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গত ২১ সেপ্টেম্বর অভিযান চালিয়ে আসামি মো. আক্কাসকে (৩৭) গ্রেপ্তার করে পিবিআই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনিও হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। আক্কাস ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে ২ হাজার টাকার বিনিময়ে এ ঘটনায় অংশ নেন বলে জানান। তার সহযোগীদের মধ্যে একজন মনির আহমদকে গুলি করলে পরে তিনি হাসপাতালে মারা যান।
পিবিআই পুলিশ সুপার বলেন, উভয় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদালতে লিপিবদ্ধ হয়েছে। পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই–এর মামলা তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী ও মনোজ কুমার দে উপস্থিত ছিলেন।