চট্টগ্রাম বন্দরে শুল্কমুক্ত সুবিধায় (কার্নেট ডি প্যাসেজ) আসা বিলাসবহুল সেই ১০৮ গাড়ি নিলামের পর বিক্রি অনুমোদন পেয়েছে ৩৪টি। এই ৩৪ গাড়ির মোট মূল্য ৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
এসব গাড়ির মধ্যে রয়েছে- রেঞ্জ রোভার, মার্সিডিজ, বিএমডব্লিউ, জাগোয়ার, টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার, মিতসুবিশি ও ফোর্ড। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, দীর্ঘ যাচাই বাছাই শেষে গত মঙ্গলবার ১০৮টি গাড়ির মধ্যে ৩৪টি বিক্রির জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি ৭৪টি গাড়ি পরবর্তী নিলামের জন্য সুপারিশ করেছে নিলাম কমিটি। এছাড়া নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতার অনুকূলে গত বুধবার ডেলিভারি অর্ডার (ডিও) জারি করা হয়েছে। গাড়িগুলো নিলামে বিক্রির লক্ষ্যে কাস্টম হাউস নিজস্ব উদ্যোগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ক্লিয়ারেন্স পারমিট (সিপি) সংগ্রহ করেছে। তাই ক্রেতাকে নতুন করে সিপি সংগ্রহ করতে হবে না।
উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কার্নেট সুবিধায় গাড়ি আমদানির সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে। তবে নির্দিষ্ট সময় পর আবার সেগুলো ফিরিয়ে নিতে হয়। বাংলাদেশে যারা শুল্কমুক্ত এই সুবিধা ব্যবহার করে এসব গাড়ি এনেছেন তাদের বেশির ভাগই প্রবাসী বাংলাদেশি, যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের অনেকেই এসব গাড়ি কার্নেট সুবিধায় এনে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই এসব গাড়ি আমদানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হলে এক সময় আমদানিকারকরা গাড়িগুলো খালাস করে নেননি।