বিদেশে গেলেই মেহেদী হাসান মিরাজের বোলিংয়ে ফুটানো হয় না হুল। বরং তার বলে ছোটে রানের ফুলঝুরি। বরাবরের চিত্র ছিল এরকম। সেই মিরাজই এবার অন্যরকম। হারারেতে এতটাই ভালো করলেন যে দেশের বাইরে এখন তিনি বাংলাদেশের সেরা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারের টেস্টে প্রথম ইনিংসে মিরাজের শিকার ৮২ রানে ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৬ রানে ৪টি। ম্যাচে ১৪৮ রানে ৯ উইকেটে, বিদেশে এক ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড! অথচ এই টেস্টের আগে দেশের মাঠে ও বিদেশের মাঠে তার পারফরম্যান্সে ছিল প্রবল বৈপরীত্য। দেশে ১৩ টেস্টে উইকেট ছিল ৭১ টি, বিদেশে ঠিক ১৩ টেস্টেই মোটে ৩৩টি। ইনিংসে ৫ উইকেট দেশে ছয়বার, ম্যাচে ১০ উইকেট দুইবার। বিদেশে ইনিংসে ৫ উইকেট ছিল মোটে একবার। বোলিং গড় দেশের চেয়ে বিদেশে প্রায় তিনগুণ, স্ট্রাইক-রেট দ্বিগুণের বেশি। সবশেষ গত এপ্রিলে শ্রীলংকা সফরেও খুব ভালো করেননি। দুই টেস্টে উইকেট নিতে পেরেছিলেন মোটে চারটি। রান গুনেছিলেন দেদার। জিম্বাবুয়েতে গিয়ে নিজেকে মেলে ধরলেন তিনি নতুন ভাবে। প্রতিপক্ষ যদিও খুব শক্তিশালী নয়। জিম্বাবুয়ের অনভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের স্পিন খেলার টেকনিক খুব ভালো নয়। মিরাজের আগে বিদেশে বাংলাদেশের সেরা বোলিং কীর্তি ছিল এই মাঠেই, জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশের সবশেষ সফরে। ২০১৩ সালে পেসার রবিউল ইসলাম ৯ উইকেট নিয়েছিলেন ১৫৫ রানে। এই তালিকায় তিনে থাকা নাম মাহমুদউল্লাহ। এক যুগ আগে, নিজের অভিষেক টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট ভিনসেন্টে ১১০ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওই সফরেই গ্রেনাডায় সাকিব আল হাসান নিয়েছিলেন ১২৯ রানে ৮ উইকেট। বিদেশে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডে তিনি আছেন চারে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে যন্ত্রণাদায়ক হারগুলির মধ্যে ওপরের দিকে থাকবে ২০০৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মুলতান টেস্ট। ওই টেস্টেই খালেদ মাহমুদ নিয়েছিলেন ম্যাচে ১০৫ রানে ৭ উইকেট। তিনি আছেন এই রেকর্ডের পাঁচে।