রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের একাদশে জায়গা করে নিয়ে ইতিহাসে নাম লেখিয়েই ক্ষান্ত হলেন না আসিফ আফ্রিদি। বল হাতে আলো ছড়িয়ে ৯২ বছরের পুরনো এক রেকর্ড ভেঙে দিলেন পাকিস্তানের বাঁহাতি এই স্পিনার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান টেস্ট দিয়ে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে ৩৮ বছর ২৯৯ দিন বয়সে অভিষেক হয় আফ্রিদির। এতেই ইতিহাসের একটি পাতায় নাম উঠে যায় তার। গত ৭০ বছরে এত বেশি বয়সে টেস্ট অভিষেক হয়নি পাকিস্তানের কোনো ক্রিকেটারের। দেশটির জার্সিতে আফ্রিদির চেয়ে বেশি বয়সে টেস্ট অভিষেক হয়েছে কেবল একজনের। তিনি ৪৭ বছর ২৪৮ দিন বয়সের অফ স্পিনার মিরান বাখশ। এরপর বল হাতেও নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দেন আফ্রিদি। প্রথম ইনিংসে ৭৯ রান খরচায় ৬ উইকেট নেন তিনি। টেস্টের ১৪৮ বছরের ইতিহাসে এত বেশি বয়সে অভিষেকে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি নেই কারো। এখানে আগের রেকর্ডটি প্রায় ৮ যুগ পুরনো। ১৯৩৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৫ ও ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ইংলিশ লেগ স্পিনার চার্লস ম্যারিয়ট। ওই ম্যাচটি ৩৭ বছর ৩৩২ দিন বয়সে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের জার্সিতে ওই একটি ম্যাচই খেলেছিলেন ম্যারিয়ট।
পাকিস্তানের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি বয়সে টেস্ট অভিষেকে পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটি এতদিন ছিল নোমান আলির। ২০২১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করাচিতে টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁহাতি স্পিনার। ৩৪ বছর ১১১ দিন বয়সে ম্যাচটি খেলতে নেমেছিলেন তিনি। আফ্রিদির রেকর্ডময় যাত্রার শুরু ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ৫৫ রান করা টনি ডি জর্জিকে এলবিডব্লিউ করে।
পরে ডেওয়াল্ড ব্রেভিসকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দুই উইকেট নিয়ে দিন শেষ করেন তিনি। নতুন দিনের চতুর্থ বলেই কাইল ভেরেইনাকে কট বিহাইন্ড করে দেন আফ্রিদি। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ৭৬ রান করা ট্রিস্টান স্টাবসের প্রতিরোধও ভাঙেন তিনি। পরে সাইমন হার্মারকে ফিরিয়ে পূর্ণ করেন পাঁচ উইকেট। কাগিসো রাবাদা ও সেনুরান মুথুসামির ৯৮ রানের শেষ উইকেট জুটির দেয়ালও ভাঙেন আফ্রিদি। তার বলে ছক্কার চেষ্টায় লং–অনে আবদুল্লাহ শাফিকের হাতে ধরা পড়েন চারটি করে ছক্কা–চারে ৬১ বলে ৭১ রান করা রাবাদা।