৯০ দিনের জন্য পাল্টাপাল্টি শুল্ক ১১৫% কমাল যুক্তরাষ্ট্র-চীন

| মঙ্গলবার , ১৩ মে, ২০২৫ at ৮:২৪ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একে অপরের পণ্যে আরোপ করা শুল্ক সাময়িক সময়ের জন্য কমাতে রাজি হয়েছে বলে জেনিভায় দুই দেশের দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

এ পদক্ষেপ বাণিজ্য উত্তেজনা কমানোর পাশাপাশি বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতিকে নিজেদের মধ্যকার বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে তিন মাস সময়ও দেবে, বলছে ব্লুমবার্গ নিউজ। সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যখন আলোচনা শুরু করছিলেন তখনও চীনা আমদানি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪৫ শতাংশ শুল্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের অনেক পণ্যে চীনের ১২৫ শতাংশ শুল্ক ছিল।

দুই দিনের আলোচনায় তারা ১৪ মে থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের জন্য ওই পাল্টাপাল্টি শুল্ক ১১৫% কমাতে রাজি হয়েছে বলে সোমবার উভয় দেশের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। এর ফলে বেশিরভাগ চীনা পণ্যে দেওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ১৪৫% থেকে কমে দাঁড়াবে ৩০ শতাংশে, মার্কিন পণ্যে চীনের শুল্ক হবে মাত্র ১০%। দুই দেশ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে একটি প্রক্রিয়া দাঁড় করানোর ব্যাপারেও একমত হয়েছে, বলা হয়েছে যৌথ বিবৃতিতে।

দুই দেশ এর আগে দুইদিনের বাণিজ্য আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হওয়ার কথা জানিয়েছিল। এ খবর পেয়েই চীন ও হংকংয়ের শেয়ারবাজারে চাঙ্গাভাব দেখা গেছে। ডলার ও ইউয়ানের কদরও বেড়েছে। মার্কিন বাণিজ্য দূত জেমিসন গ্রিয়ার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে আরও ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য চায়।

হোয়াইট হাউজ রোববার এক বিবৃতিতে দুই দেশের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি হয়েছিল বলে জানালেও এ সম্বন্ধে বিস্তারিত কিছু বলেনি। ব্লুমবার্গ লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের নতুন চুক্তি নিয়ে বাজার ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখালেও আগের অভিজ্ঞতা বলছে, দুই দেশের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ও বিস্তারিত চুক্তি হতে অনেক সময় লাগতে পারে, এবং শেষ পর্যন্ত তেমন কোনো চুক্তির পথে আদৌ যাওয়া যাবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। ২০১৮ সালেও একবার বাণিজ্য আলোচনা শেষে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন নিজেদের মধ্যকার বিরোধ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র পরে সেই সমঝোতা থেকে সরে আসে, এরপর দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বাড়তি শুল্ক আরোপ আর আলোচনার পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ফেজ ওয়ান বা প্রথম ধাপের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু চীন পণ্যের ক্রয়সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, উল্টো কোভিড মহামারীর সময় দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি আরও বেড়ে যায়, যা বর্তমান বাণিজ্য বিরোধের পথ তৈরি করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাতার থেকে বিলাসবহুল বোয়িং ৭৪৭-৮ বিমান উপহার নেওয়ার কথা ভাবছেন ট্রাম্প
পরবর্তী নিবন্ধফটিকছড়িতে কৃষি জমির টপ সয়েল কাটায় অর্থদণ্ড