৯০ ডিগ্রি বাঁকা ঘাড়, যেভাবে পাল্টে গেল কিশোরীর জীবন

| সোমবার , ১৮ জুলাই, ২০২২ at ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ

১০ মাস বয়সে বোনের কোল থেকে পড়ে গিয়ে ভেঙে গিয়েছিল পাকিস্তানি কিশোরী আফশিন গুলের ঘাড়। এরপর থেকেই আফশিনের ঘাড় পুরো ৯০ ডিগ্রি বেঁকে যায়। এছাড়া সে সেরিব্রাল পালসিতেও আক্রান্ত ছিল। ছয় বছর বয়সে সে হাঁটা শেখে এবং আট বছর বয়সে কথা বলা। এসব কারণে তার বয়সী শিশুদের তুলনায় সে অনেক পিছিয়েও পড়েছিল। অবশেষে তার জীবন পাল্টে দিয়েছে ভারতীয় একজন চিকিৎসকের অস্ত্রোপচার। সেই চিকিৎসকের নাম রাজাগোপালন কৃষ্ণান।

দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালের জটিল স্পাইনাল সার্জারি বিশেষজ্ঞ তিনি। খবর বিডিনিউজের। আফশিনের ভাই ইয়াকুব কুমবার জানান, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় বেসরকারি হাসপাতাল আগা খান ইউনিভার্সিটি হসপিটালে আফশিনকে ভর্তি করা হয়। বিশেষজ্ঞরা তখন বলেছিলেন, তারা অস্ত্রোপচার করবেন। কিন্তু আফশিনের বাঁচার আশা ৫০ শতাংশ। এ কথা শুনে আফসিনের বাবা-মা আরেকটু ভেবে দেখবেন বলে আফশিনকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান। ২০১৯ সালে খবরের শিরোনাম হন আফশিন।

যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক আলেকজান্দ্রিয়া থমাস আফশিনের অবস্থা ও তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এই থমাসই পরিবারটিকে দিল্লির চিকিৎসক কৃষ্ণানের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন এবং কৃষ্ণান আফশিনকে সহায়তা করার আশ্বাস দেন। কৃষ্ণান বিবিসিকে বলেন, তিনি ও তার দল ছয় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আফশিনের মাথার খুলির সঙ্গে মেরুদণ্ডকে জোড়া লাগাতে পেরেছিলেন। তারপর ঘাড় সোজা রাখতে কাঠি এবং স্ক্রু ব্যবহার করে মাথার খুলিটিকে সার্ভিক্যাল মেরুদণ্ডের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। অস্ত্রোপচার সফল হওয়ার পর চিকিৎসক কৃষ্ণান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, চিকিৎসা না হলে আফশিন বেশি দিন বাঁচতো না। কিন্তু এখন আফশিন হাসছে, কথা বলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘চীনের উত্থানে শেষের পথে পশ্চিমা আধিপত্য’
পরবর্তী নিবন্ধমাসে একবার পিৎজা ১৫ দিন অন্তর শপিং বিয়ের অভিনব চুক্তি