করোনা মহামারী বিশ্বব্যাপী মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশেও প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে সুরক্ষা অ্যাপসে ৮ হাজার ২২০ জন শ্রমিক-কর্মচারীর ভ্যাকসিন নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রাম এশিয়ান গ্রুপ। এদের মধ্যে গত কয়েকদিনে ১২০ জন ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন এশিয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমই’র সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি এবং পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সালাম।
তিনি বলেন, কারখানার শ্রমিকরা এ দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। তাদের জীবন ও স্বাস্থ্যনিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমাদের এই উদ্যোগ। পাশাপাশি দেশের বৃহত্তর রপ্তানি আয়ের এই খাতটি যেন উৎপাদন অব্যাহত রাখতে পারে। প্রকৃতপক্ষে লকডাউন নয়, আমাদের ভ্যাকসিন নির্ভর হতে হবে।
টিকা নেওয়া সুমন দত্ত নামের এক পোশাকশ্রমিক বলেন, টিকা পেয়ে আমরা অনেক খুশি। এমডি স্যার আমাদের জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। আমাদের জন্য তিনি টিকার ব্যবস্থা করেছেন। আমরা লকডাউন চাই না। এখন যেভাবে দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করছি, সেভাবে কাজ করতে চাই।
সেলিনা আকতার নামের আরেক শ্রমিক বলেন, অফিসের স্যারেরা গাড়িতে করে আমাদের টিকা কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন। এনেও দিছেন। আমাদের কোনো কষ্ট হয় নি। আমরা এখন সুস্থ আছি। দোয়া করি যেন আমাদের মালিক আমাদের মতো সব শ্রমিকের টিকা ব্যবস্থা করে দেন। আমরা চাই এই করোনায় আমাদের সংসারও চলুক, কাজও চলুক।
এই বিষয়ে এশিয়ান গ্রুপের ম্যানেজার (এইচআর এন্ড আইটি) ইফতেখার উদ্দিন রিগ্যান বলেন, আমরা রাতদিন পরিশ্রম করে গত ১২ জুলাই থেকে এই পর্যন্ত ৮ হাজার ২২০ জনকে রেজিস্ট্রেশন করেছি। ইতোমধ্যে ১২০ জন টিকা নিয়েছেন। যারা টিকা নিয়েছেন তাদের কেয়ারের মধ্যে রাখছি। তাদের খোঁজ-খবরও নেওয়া হচ্ছে। যারা টিকা পাওয়ার উপযুক্ত তাদের রেজিস্ট্রেশনের আওতায় নিয়ে এসেছি। পর্যায়ক্রমে আমাদের গ্রুপের সব কর্মীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসব। এশিয়ান গ্রুপে ৩০ হাজার কর্মী রয়েছে। যাদের বয়স ৩৫ বছরের উপরে তাদের রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। আমাদের রেজিস্ট্রেশন চলমান রয়েছে। বয়স ভেদে বাকিদেরও রেজিস্ট্রেশন করা হবে।