জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম–পরিকল্পনার (২০২৩–২৪) আওতায় শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বিভাগের ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব অ্যাকাউন্টস কার্যালয়ে সেবা প্রদান প্রক্রিয়া সহজ করতে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ৫ মে রোববার সকাল সাড়ে দশটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত সেবাগ্রহীতাদের সাথে এ গণশুনানি হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (প্রশাসন) এ এইচ এম শামসুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইকতিদার আলম। চট্টগ্রাম বিভাগের ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব অ্যাকাউন্টস এস এম মনজুর আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। অফিসের সার্বিক কমকাণ্ডের উপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ডেপুটি ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব একাউন্টস জিনিয়া আকতার সুপতা।
গণশুনানিতে প্রধান অতিথি অতিরিক্ত হিসাব মহানিয়ন্ত্রক এ এইচ এম শামসুর রহমান বলেন, গণশুনানির মাধ্যমে সেবা প্রদানকারী ও সেবা গ্রহীতাদের মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। মাসের প্রথম কর্মদিবসে সরকারি কর্মচারীরা এখন ইএফটির মাধ্যমে বেতন পাচ্ছেন। পেনশনারদের কষ্ট লাঘবে ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রদান করা হচ্ছে। এতে সেবাগ্রহীতাদের সুযোগ অনেক বেড়েছে। বর্তমানে ৮ লাখ পেনশনার ইএফটির মাধ্যমে মাসের প্রথম কর্মদিবসে পেনশন পেয়ে থাকেন। গণশুনানিতে তিনি সেবা গ্রহীতাদের বিভিন্ন মতামত মনোযোগ সহকারে শুনেন এবং সেবা গ্রহীতাদের গঠনমূলক পরামর্শ বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
বিশেষ অতিথি অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইকতিদার আলম বলেন, সরকারি অফিসে সেবা প্রদানের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে (এপিএ) যে অঙ্গীকার করা হয় তা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা গণশুনানির মাধ্যমে তা মূল্যায়ন এবং সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা পরিলক্ষিত হলে তা সমাধানের চেষ্টা করা হয়।
ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব অ্যাকাউন্টস এস এম মনজুর আহমেদ বলেন, হিসাবরক্ষণ অফিস সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের আর্থিক দাবি পরিশোধের পাশাপাশি ভ্যাট, ট্যাক্স আদায়ের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তিনি সরকারে আর্থিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আর্থিক বিধি–বিধান পরিপালনের জন্য সেবাগ্রহীতাদের আহ্বান জানান।
গণশুনানিতে ৯ এপিবিএন, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন, বিআইডিআইডি ফৌজদারহাটের পরিচালক ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী, রেলওয়ে পুলিশের এএসপি উর্মি দেব, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সরবরাহ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট এম নিজাম উদ্দিন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজনীন সুলতানা নীপা, পরিবহন অডিট অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ মোহসেনুল আলম, সমাজসেবা অফিসার অভিজিৎ সাহা, পেনশনারদের মধ্যে অধ্যক্ষ প্রফেসর মুহাম্মদ এনামুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী, এস এম খালেদ, এবিএম ওয়াজি উল্লাহ চৌধুরী, সুনীল কান্তি ঘোষ এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের আয়ন ও ব্যয়ন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।