৮ মাসে সাড়ে ৩৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়

চট্টগ্রাম কাস্টমস

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২ মার্চ, ২০২২ at ৬:৩৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম কাস্টমসে চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রাজস্ব আদায় হয়েছে সাড়ে ৩৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছিল প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। তবে কাস্টমসের মোট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে আছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি অর্থবছর শেষ হতে বাকি আছে আর ৪ মাস। এই সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টমসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি অর্জিত না হলেও তা গত অর্থবছরকে ছাড়িয়ে যাবে এটি বলা যায়। কারণ গত অর্থবছরের চট্টগ্রাম কাস্টমসের ইতিহাসের প্রথমবারের মতো ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছিল।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ের বৃহৎ প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টমসে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বেড়েছে। এছাড়া করোনাকালীন অনেক উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানি বন্ধ ছিল, সেগুলোর আমদানিও এখন স্বাভাবিক হচ্ছে। যার ফলে রাজস্ব আদায়ে গতিও বেড়েছে। এছাড়া কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার তৎপরতার কারণে মিথ্যা ঘোষণায় আটক চালান থেকে রাজস্ব আদায়ের হারও বাড়ছে। কাস্টমস কর্তারা জানান, চলতি অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টমসে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৫ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। সে হিসেবে জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৪২ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা। অপরদিকে মাসভিত্তিক হিসেবে অর্থবছরের জুলাই মাসে ৪ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা, আগস্ট মাসে ৫ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বর মাসে ৪ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা, অক্টোবর মাসে ৫ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা, নভেম্বর মাসে ৬ হাজার ৩৭ কোটি টাকা, ডিসেম্বর মাসে ৫ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা, জানুয়ারি মাসে ৫ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা, ফেব্রুয়ারি মাসে ৪ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা, মার্চ মাসে ৫ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা, এপ্রিল মাসে ৬ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা, মে মাসে ৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা এবং জুন মাসে ৫ হাজার ১৩২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা ধরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের গতি বাড়ার কারণে রাজস্ব আদায়ও বেড়েছে। সরকারি রাজস্ব সুরক্ষায় চট্টগ্রাম কাস্টমসের প্রত্যেক কর্মকর্তা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণার চালানে আমরা দ্বিগুণ জরিমানা আদায় করছি। এর ফলে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির হারও কমেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যত বই
পরবর্তী নিবন্ধবাসিন্দাদের সতর্ক করে কিয়েভের টিভি টাওয়ারে হামলা