৮ দফা দাবিতে ফারিয়ার মানববন্ধন-র‌্যালি

| শনিবার , ৯ নভেম্বর, ২০২৪ at ৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ

ফার্মাসিউটিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভ এসোসিয়েশন (ফারিয়া) চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে এক মানববন্ধন ও র‌্যাালি গতকাল বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে এবং চট্টগ্রাম মহানগর ফারিয়ার সাধারণ সম্পাদক শরীফ হোসাইনের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি তপন দত্ত।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন টিইউসি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখার কামাল খান, মহানগর ও উত্তর জেলা ঐক্যবদ্ধ ফারিয়ার সভাপতি শাহাদাত হোসেন তারেক, বিভাগীয় ফারিয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলা ফারিয়ার সভাপতি বাবু মিলন কান্তি দে স্বপন, মহানগর ফারিয়ার সভাপতি আনোয়ার হোসেন, উত্তর জেলা ফারিয়ার সভাপতি শিপন পাল প্রমুখ। সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেনটেটিভরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের বাহিরের পরিপাটি পোশাক দেখে বুঝার উপায় নেই যে, তারা কী অমানবিক অবস্থার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন ডাক্তার, হাসপাতাল ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অসম্মানজনক আচরণ। প্রতিনিয়ত শ্রম আইন ভঙ্গ করে দৈনিক ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করানো হলেও তাদেরকে কোনো ওভারটাইম ভাতা দেয়া হয় না। তারা যে বেতন পায় তা বর্তমান বাজার দরের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। বাজারের চাহিদা যাচাই না করে প্রতিনিয়ত অবাস্তব ও মাত্রাতিরিক্ত বিক্রয় টার্গেট দেয়া হয় এবং টার্গেট পূরন করতে না পারলে গুনতে হয় জরিমানা। সেলফ সার্ভের নামে অনেক মালিক ও কর্তৃপক্ষ ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেনটেটিভদেরকে দিয়ে রোগীদের প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলতে বাধ্য করে। ফলে তারা প্রায় রোগীদের প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলতে গিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার হন। এতকিছুর পরেও তাদের চাকরির কোনো নিরাপত্তা নাই। সারা দেশে আড়াই লক্ষাধিক ফার্মাসিউটিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভ হিসাবে চাকরি করে। শুধু চট্টগ্রাম বিভাগেই চাকরি করে পয়তাল্লিশ হাজারের অধিক। আইএলও কনভেশন ৮৭ ও ৯৮ অনুসারে ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেনটেটিভরা যাতে ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার পেতে পারে তার জন্য শ্রম আইনের ১৮৩ ধারা সংশোধন করে ফার্মাসিউটিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভদের প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের অধিনে ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন দেয়ার দাবি জানান বক্তারা।

সমাবেশে চাকরির নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা বিধান, শ্রম আইন অনুযায়ী সকল সবেতন ছুটি প্রদান, ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে ওভারটাই ভাতা প্রদান, মার্কেট চাহিদা যাচাই করে বাস্তবসম্মত টার্গেট সেট করা এবং সার্ভে, অর্ডার ও কালেকশান থার্ড পার্টির মাধ্যমে করাসহ মোট ৮ দফা দাবি জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাঙ্গুতে গোসলে নেমে স্কুলছাত্র নিখোঁজ
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম জেলা পরিষদকে সরকারি মুসলিম হাইস্কুল প্রাক্তন ছাত্রসমিতির সম্মাননা প্রদান