ঘুমের ইনজেকশন জি–ডায়াজিপামের লেবেল পাল্টিয়ে চেতনানাশক জি–পেথিডিন ইনজেকশন বলে কারবার চালিয়ে আসা ৩ ব্যক্তিকে ঢাকায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ বলছে, চক্রটি আট টাকার ওষুধের লেবেল পাল্টিয়ে ৬০০ টাকার ওষুধ হিসেবে বেচতো। মতিঝিলের টিঅ্যান্ডটি কলোনি এবং ভাটারার নদ্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত সোমবার তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন আলমগীর খাঁন (৪০), মাসুদ রানা (২৯) ও আহসান হাবীব শাওন (৩০)। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অ্যাম্পুল, স্টিকার, অ্যাসিডসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। খবর বিডিনিউজের।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণত সন্তান জন্মের সময় প্রসূতি মায়েদের ব্যথা উপশমের জন্য ‘জি–পেথিডিন’ ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সহকারী পুলিশ কমিশনার এরশাদুর রহমান জানান, প্রচলিত ‘জি–ডায়াজিপাম’ ঘুমের ইনজেকশনকে ঘরোয়াভাবে ‘জি–পেথিডিন’ চেতনানাশক ইনজেকশন বানিয়ে আসছিল চক্রটি। তারা লেবেল পরিবর্তন করে গত ৭/৮ বছর ধরে এই কারবার চালিয়ে আসছিল। উত্তর যাত্রাবাড়ীর একটি বাসায় নকল জি–পেথিডিন ইনজেকশন তৈরি করে চক্রটি প্রতিটি অ্যাম্পুল ৬০০ টাকা করে বিক্রি করছিল জানিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, মিটফোর্ড এলাকা থেকে ঘুমের ইনজেকশন জি–ডায়াজিপাম প্রতি পিস ৮ টাকায় তারা কেনে। পরে বাসায় এনে অ্যাম্পুলগুলো অ্যাসিডে ভিজিয়ে রেখে লেবেলগুলো তুলে ফেলে। পরে সেগুলোতে জি–পেথিডিনের লেবেল লাগিয়ে ফয়েল পেপার দিয়ে প্যাকেটজাত করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।