৮০ লাখ টাকার ৬১টি মহিষের নিলাম ৩০ লাখে

উখিয়ার ঘাট কাস্টমস

উখিয়া প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১৩ অক্টোবর, ২০২৩ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

উখিয়ার ঘাট কাস্টমসের নিলামে বিজিবির জব্দকৃত ৬১ টি মহিষ কম দামে নিলামে অংশ নেওয়া একটি সিন্ডিকেটের হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মহিষগুলো ৮০ লাখ টাকায় বিক্রির টার্গেট নির্ধারণ করেছিল বালুঘাট কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। নিলামে সেগুলো মাত্র ৩০ লাখ টাকা ডাককারী সিন্ডিকেটের হাতে তুলে দেয়া হয় বলে জানা গেছে। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তাদের অভিযোগ এ অনিয়মে উখিয়া ঘাট কাস্টমসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকান্ত কুমার দে জড়িত। টানা তিনদিন নানা তালবাহানা করে কাস্টমস কর্মকর্তা সুকান্ত কুমার দে নিজের পছন্দের গরু মহিষ পাচারকারী সিন্ডিকেটকে কৌশলে নিলামে ডাকটি পাইয়ে দেন। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক রাজস্ব ক্ষতিকারক কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

নিলামে অংশ নিতে আসা নাসির উদ্দীনসহ কয়েকজন জানান, কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা বা প্রচার প্রচারণা ছাড়াই গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে তড়িঘড়ি করে বালুখালী বিজিবি বিওপিতে নিলাম কার্যক্রম শুরু করেন উক্ত কাস্টমস কর্মকর্তা। তার নীরব ভূমিকা ও সিন্ডিকেট সদস্যদের চাপের মুখে নিলামে ডাক দিতে পারেননি তারা।

জানা গেছে, ৯ অক্টোবর কঙবাজার ৩৪ বিজিবির উখিয়ার বালুখালী বিওপি সদস্যরা সীমান্তে টহলরত অবস্থায় ৬১টি মহিষ জব্দ করেন। এসব মহিষ দ্রুত নিলামের জন্য বিজিবির পক্ষ হতে উখিয়ার ঘাট কাস্টমস শুল্ক গুদাম কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হয়। উখিয়ার ঘাট কাস্টমস শুল্ক গুদাম কর্মকর্তা ১০ অক্টোবর নিলামের আয়োজন করলেও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পর্যাপ্ত নিলাম মূল্য না ওঠায় ওই দিনের নিলাম কার্যক্রম বাতিল করেন। এর পরদিন ১১ অক্টোবর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশের দোহাই দিয়ে নিলাম অনুষ্ঠান করেননি বলে জানা যায়। বালুখালী কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিয়ম অনুযায়ী ৬১টি মহিষের মূল্য ৮০ লাখ টাকা নির্ধারণ করেছে বলে জানা গেছে।

উখিয়ার ঘাট কাস্টমস কর্মকর্তা সুকান্ত কুমার দে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ১০ ও ১১ অক্টোবর নিলাম হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ও সরকারি দলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের অনুরোধে গতকাল বৃহস্পতিবার যথাযথ নিয়মে নিলাম সম্পন্ন করা হয়েছে।

কাস্টমস এঙাইজ ও ভ্যাট কঙবাজার অফিসের ডেপুটি কমিশনার আল আমিন এ প্রসঙ্গে বলেন, কাস্টমসের নিলাম আইনে মহিষগুলো পচনশীল তালিকায় বিধায় প্রকাশ্য নিলামে সর্বোচ্চ ডাক প্রদানকারীকেই দেওয়ার নিয়ম। এক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কেউ যদি অনিয়ম করে থাকে তা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকয়লা পরিবহনে ভাড়া কমলো লাইটার জাহাজে
পরবর্তী নিবন্ধপ্রথম চার ব্যাটারকে খেলতে হবে লম্বা ইনিংস : আকরাম খান